রাঙামাটিতে বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু এর অভিযোগে রাঙামাটিতে বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় মো. সেলিম নামে এক অসাধু চিংড়ি ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
শনিবার দুপুরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর অভিযোগের ভিত্তিতে শহরের বনরূপা বাজার এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন রাঙামাটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক।
এ সময় রাঙামাটি পৌর প্যানাল মেয়র মো. জামাল উদ্দীন, রাঙামাটি কোতয়ালী থানার কর্মকর্তা (ওসি) সৎজিত বড়ুয়া, বনরূপা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবু সৈয়দ উপস্থিত ছিলেন।
ফিরোজা বেগম চিনু অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সকালে তার স্বামী শহরের বনরূপা বাজার থেকে মাছ ব্যবসায়ী সেলিমের কাছ থেকে চিংড়ি মাছ ক্রয় করে নিয়ে যায়। বাসায় নিয়ে দেখে চিংড়ি মাছের মাথার ভিতর এক প্রকার জেলি। জেলি হাত দিয়ে স্পর্শ করার সাথে তার মেয়ের হাতও ফুলে যায়। পরে তিনি রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় অভিযোগ করে। পরে বনরূপা বাজারে দ্রুত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় হাতে নাতে আটক করা হয় বিষাক্ত জেলি যুক্ত চিংড়ি মাছ ব্যবসায়ী সেলিমকে। পরে বিষাক্ত জেলি যুক্ত চিংড়ি মাছ বিক্রির অপরাধে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী রাঙামাটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বাজারে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করায় কোন অসাধু ব্যবসায়ীকে ছাড় দেওয়া হবেনা। এসময় রাঙামাটি বাজারে বিষাক্ত জেলি যুক্ত চিংড়ি মাছ বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
অভিযুক্ত চিংড়ি ব্যবসায়ী মো. সেলিম জানান, সে নিজেও জানতনা চিংড়িতে বিষাক্ত জেলি দেওয়া আছে। চট্টগ্রাম থেকে এসব মাছ তারা আমদানি করে থাকেন। এসব বিষাক্ত জেলি চট্টগ্রামে মেশানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।