রাঙামাটিতে বিদেশী মদসহ বৌদ্ধ ভিক্ষুবাহী নৌকা আটক

%e0%a6%9f%e0%a6%9a%e0%a6%9c

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার কাপ্তাই লেক থেকে ২৭ বোতল বিদেশী মদসহ ৪ বৌদ্ধ ভান্তেকে আটক করে বিজিবি। বুধবার দুপুর ১১ টায় উপজেলার জলযান ঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। ভান্তেরা এ সময় ভারত সংলগ্ন সীমান্ত থেগামুখ থেকে রাঙামাটিতে যাচ্ছিলেন। বিজিবি সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, বুধবার সকাল ১১ টার দিকে বড় হরিণার শ্রীনগড় বৌদ্ধ বিহার থেকে রাঙামাটিস্থ চাকমা রাজার বৌদ্ধ বিহারে একটি ইঞ্জিন চালিত বোটে কয়েকজন বৌদ্ধ ভিক্ষু রাঙামাটি যাচ্ছিলেন। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বিজিবি সদস্যরা বোটটি থামার সংকেত দিলে বোটটি না থামিয়ে আরো জোরে চালাতে থাকে। এসময় বিজিবি সদস্যদের সন্দেহ আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা ৪ ভান্তেসহ বোটটি আটক করে।

আটক ভান্তেরা হলেন, সুমনাচার চাকমা (৩১), পিতা-পূর্নাদম চাকমা, সাং- কুসুম ছড়ি, সুবলং, বরকল; সুদর্শি চাকমা (৩৬), পিতা-শান্তি লাল চাকমা, সাং-পানছড়ি, জেলা- খাগড়াছড়ি;  আনন্দ চাকমা (২৫), পিতা- সুরেশ চাকমা, সাং-পানছড়ি, জেলা খাগড়াছড়ি; এবং অপরজনের নাম জানা যায় নি।

এ সময় তল্লাশী চালিয়ে বিজিবি সদস্যরা বোটের যাত্রী ৪ জন বৌদ্ধ ভিক্ষুর ব্যাগ থেকে ২৭ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। আটককৃত মদের আনুমানিক মূল্য ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩শত টাকা। বিদেশী মদ সম্পর্কে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা এ সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা প্রকাশ করে। তাদের ব্যাগে পাওয়া যাওয়ার বিষয়টি জানালে তারা ক্ষমা চেয়ে পরবর্তীতে এ ধরণের ঘটনা আর হবে না এ মর্মে মুচলেকা দিতে সম্মত হয়। বোট চালকও জানান, তিনি এ মদ সম্পর্কে কিছু জানেন না।

এসময় বিজিবি সদস্যরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে আটক ভান্তেদের সামাজিক মর্যাদা চিন্তা করে ভান্তে ও বোট চালককে ছেড়ে দিলেও নৌকা ও বিদেশী মদের বোতলগুলো জব্দ করেন।

জব্দকৃত ভোটের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং মাদকগুলো ধ্বংস করে ফেলা হবে বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, বছর খানেক আগে একইস্থানে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় ৪ টি স্বর্ণমূতি, বিদেশী এনার্জি ড্রিংকস ও দুই ব্যাগ টাকাসহ কয়েকজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে আটক করে বিজিবি। এসময় ভিক্ষুরা জানায়, ভারত থেকে প্রার্থনা উদ্দেশ্যে তারা এ মূর্তিগুলো এনেছিলেন এবং টাকাগুলো দানের টাকা।

এসময় স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিজিবি ক্যাম্প ঘেরাও করে মিছিল করতে থাকলে স্থানীয় বিজিবি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে ভিক্ষুদের ছেড়ে দেয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন