রাখাইনে হেলিকপ্টার নিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হামলা, ৫ রোহিঙ্গা নিহত
ডেস্ক রিপোর্ট:
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রামে হেলিকপ্টার নিয়ে হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী। এতে ৫ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ১৩ জন।
বুধবার রাখাইনের একটি বাঁশঝাড়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসী ও একজন আইনপ্রণেতা। তবে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এই হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বুথিডাউং শহরে এক রোহিঙ্গা মুসলিম পরিবারের বাড়িতে।
কিন তাউং গ্রামের কমিউনিটি নেতা জাউ কির আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন আমাদের গ্রামের। গতকাল (বুধবার) বিকাল ৪টার দিকে এই হামলা হয়। গ্রামের লোকজন ভয়ে বাইরে যাচ্ছে না, আতঙ্কিত অবস্থার মধ্যে রয়েছে সবাই।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের সময় বুথিডাউং এলাকার প্রায় সব গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বুধবার যে গ্রামটি হামলার শিকার হয়েছে তা ওই সময় বাদ পড়েছিল।
রাখাইনের স্থানীয় এক বাসিন্দা রশিদ আহমেদ টেলিফোনে রয়টার্সকে জানান, তার এক বড় ভাই, চাচা ও ভাতিজা সাইদিন উপত্যকায় কাজ করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, তারা সেখানে বাঁশ কাটার সময় একটি হেলিকপ্টার হামলা চালায়।
ওই গ্রামের আরও দুই বাসিন্দাও জানিয়েছেন হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানোর কথা।
বুথিডাউংয়ের আইনপ্রণেতা মাউং কিয়াউ জান জানান, আহতদের কয়েকজনকে স্থানীয় শহরে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার আগেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়। ৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আহতদের কাছ থেকে জেনেছি আকাশপথে গুলির কথা। যদিও সেখানে কোনও সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
এই হামলার বিষয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল তুন তুন নাইয়ি জানান, যথাসময়ে ঘটনাটি সম্পর্কে ‘সঠিক সংবাদ’ প্রকাশ করা হবে।