যৌন নির্যাতনকারী বৌদ্ধ ধর্মগুরু সোগিয়াল রিনপোচে

ডেস্ক রিপোর্ট:
দালাই লামার পর সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু সোগিয়াল রিনপোচের (৭১) বিরুদ্ধে গুরুত্বর যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি নারী অনুসারীদের সঙ্গে অবাধ যৌনাচার করেছেন। এমন কি নিজে সুন্দরী নারী পরিবেষ্টিত থাকতেন। গড়ে তুলেছিলেন নিজের মতো করে একটি হারেম। এ বিষয়ে তদন্ত হয়েছে। তাতে উঠে এসেছে এসব তথ্য। কাউকে কোনোভাবে আঘাত করে থাকলে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। বর্তমানে তিব্বতে বসবাস করেন সোগিয়াল রিনপোচে।

দালাই লামার পর তাকেই বছরের পর বছর ধরে মানুষ সবচেয়ে বেশি সম্মান জানিয়ে আসছে। তার লেখা বই ‘দ্য তিবেতান বুক অব লিভিং অ্যান্ড ডাইং’ বিক্রি হয়েছে ৩০ লাখেরও বেশি কপি। এই যে মান, সম্মান, যশ, খ্যাতি এর আড়ালে ছিল তার এক অন্ধকার গোপনীয়তা। অভিযোগ আছে, হারেমে তিনি সুন্দরী যুবতী দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতেন। তাদের সঙ্গে গড়ে তুলতেন যৌন সম্পর্ক। এ ছাড়া তাদেরকে ইমোশোনালি ব্লাকমেইল করে নির্যাতন করতেন। তিনি জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হওয়ার পথ উন্মুক্ত করার কথা বলে গড়ে তুলতেন অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক। এ বিষয়ে এ মাসের শুরুর দিকে একটি তদন্ত রিপোর্ট বের হয়েছে। তাতে বেরিয়ে এসেছে বহু নারী অনুগামীকে তিনি গুরুত্বর শারীরিক, যৌন ও ইমোশনাল নির্যাতন করেছেন। তিব্বতের বৌদ্ধদের মেডিটেশন স্টোর রিগপা’র অর্থায়নে আইনি প্রতিষ্ঠান লুইস সিলকিন ওই রিপোর্ট তৈরি করে।

সোগিয়াল রিনপোচের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ বেরিয়ে আসার পর বৌদ্ধ ধর্মের সাবেক অনুসারীরা এ নিয়ে কথা বলেছেন বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার সঙ্গে। একজন অনুসারী বলেছেন, সোগিয়াল রিনপোচে কিছুটা দানবের মতো। আর কিছুটা হলো শিশুদেরকে নষ্ট করে দেয়া স্বভাবের। দৃশ্যত তিনি যৌনতা, খাদ্য, ধুমপানে আসক্ত। আরেকজন অনুসারী বলেছেন, সোগিয়াল রিনপোচে এবং মেয়েরা সব কিছুই একসঙ্গে ভাবতো। তারা তার ভিতরে প্রবেশ করতো। তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতো। এটাকে পবিত্র বলে ধরে নেয়া হতো।

সোগিয়াল রিনপোচের সাবেক একজন অনুসারী ২০১১ সালে তার আচরণ নিয়ে কথা বলেছেন কানাডিয়ান টিভি’তে। এরপরই তার অন্ধকার অধ্যায় বেরিয়ে আসে। ওই অনুসারী দাবি করেছেন, তার সঙ্গে তার এই শিক্ষক অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। উল্লেখ্য, এখন আর রিগপা’র সঙ্গে যুক্ত নেই সোগিয়াল রিনপোচে। তিনি কৃতকর্মের জন্য অতীত ও বর্তমান অনুসারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

সূত্র: মানবজমিন

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন