Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

মোবাইলে কল রিসিভ করে অসুস্থ্য হয়ে ভর্তি এবার লক্ষীছড়ি হাসপাতালে!

htjyhkjhk-copy

নিজস্ব প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ‘জিরো জিরো কিংবা অন্য কোনো নাম্বার থেকে কল এসে স্ক্রিন লাল হয়ে যাওয়া মোবাইল কল রসিভি করলে বা তাকালেই অসুস্থ্য, অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে’ এ খবর গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শোনাগেলেও মঙ্গলবার বাস্তবে লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতালে দেখা মিলল এমন একজন রোগীর।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খবর পেয়ে এ প্রতিনিধি লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতালে গেলে জুর্গাছড়ি পাড়ার রনবী চাকমার স্ত্রী মিতালী চাকমা(৩০) জানান, বাচ্চার বাবা সকালে ওঠেই কাজে রওনা হওয়ার কারণে আমাকে শেষ রাতে ওঠে ভাত রান্না করতে হয়। রাত ৩টার দিকে টেবিলে রাখা মোবাইল ফোনটি দেখি লাল হয়ে গেছে, কোনো শব্দ হয় নি। দেখার সাথে সাথে আমার মাথা ঘুরে যায়। ২০-২৫ কলসি পানি মাথায় ঢালার পর আমার জ্ঞান ফিরে আসে। প্রথমে বাজারে একটি ফার্মেসীতে স্যালাইন দেয় এবং  পরে আমাকে হাসাপতালে নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে মিতালী চাকমার স্বামী রনবি চাকমা বলেন, সকাল পর্যন্ত নাম্বারটি ছিল। এখর আর রিসিভ কলে নাম্বারটি দেখা যাচ্ছে না। এ সময় রোগীর সাথে কথা বললেও ভয় ও আতঙ্ক লক্ষ্য করা যায়। প্রত্যক্ষদর্শিদের মধ্য হতে একজন জানান, তার রিসিভ কলে ৪৪৪৪৪৪৫ এমন ৭ ডিজিটের একটি নাম্বার দেখতে পান।

এর আগে বর্মাছড়ি ইউনিয়নের তংতুল্যা পাড়ায় দিগন্ত চাকমার স্ত্রী কোকিলা চাকমা(২৫) মোবাইল স্ক্রিন লাল হয়ে কল আসলে রিসিভ করতেই অজ্ঞান হয়ে পরেন। তার স্বামী দিগন্ত চাকমা রাগ করে মোবাইল ফেলে দিতে চাইলে মোবাইলটি ধরার সাথে সাথে সেও অজ্ঞান হয়ে পড়ে বলে এলাকায় প্রচার হয়। পরে তাদের ফটিকছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্র দাবি করেন।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতালে দায়িত্বরত ডা. রাব্বী জানান, রোগী দেখেছি, তার অতিরিক্ত রক্তচাপ আছে। এছাড়া অন্য কিছু পরিলিক্ষিত হয় নি বলে তিনি জানান।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, যা শুনতে পাচ্ছি এটা বিজ্ঞান সম্মত নয়, মানুষিক কোনো ঘটনা থাকতে পারে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই।

এ ঘটনার পর রবি নাম্বারে বিকাশ করা এবং রিচার্জ করা অনেকটাই কমে গেছে এমন তথ্য জানালেন উপজেলা সদরে মা কম্পিউটারের মালিক মো: রিপিন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন