মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

‘সহায়তার কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেননি। মানবতার কথা ভেবে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তবে মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সোমবার (১৩ নভেম্বর) গুলশানের জব্বার টাওয়ারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ব্যাংকসের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন।

রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে সাউথ ইস্ট এশিয়া কো-অপারেশনের উদ্যোগে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, মানবিক কারণে মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন-দরকার হলে আমরা এক বেলা না খেয়ে তাদের খাওয়াবো। মিয়ানমারকে বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া তাদের নাগরিকদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে।

‘তবে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান একদিনে হবে না। কিন্তু এটা দীর্ঘদিনও চলবে না। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচেষ্টা চলছে। আশা করছি ভালো একটা সমাধান আমরা করতে পারবো।’

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের উদ্বাস্তু ঘোষণা দিলে তারা বাংলাদেশের নাগরিক দাবি করতে পারে। কেউ প্রমাণ করতে পারে তারা স্টেটলেস (রাষ্ট্রহীন), তখন আর তাদের নিজ দেশে ফেরানো যাবে না।

‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবাই সব ক্ষেত্রে সব সময় আমাদের মতো করে বলবে না-তা কিন্তু ঠিক নয়। আমরা আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরালোভাবে পেয়েছি। বিশ্বের কোনো দেশ এমন সঙ্কটে আগে পড়েনি। প্রথম ১৯ দিনে চার লাখ আশ্রয় প্রার্থী কেউ পায়নি,’ যোগ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শাহরিয়ার আলম।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৫ লাখ পেরিয়েছে জানিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, এ সঙ্কটে আন্তর্জাতিক মিডিয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সুশীল সমাজকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। কিছু বিষয়ে যাতে অতিরঞ্জন করে বলা না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বৈঠকে বিশেষ অতিথি সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, একাত্তরে ভারত বন্ধু দেশ হিসেবে আমাদের এক কোটি মানুষকে তার ভূমিতে আশ্রয় দিয়েছিলো। কিন্তু এবারে রোহিঙ্গা নিয়ে সবাই ভারতের আরও জোরালো ভূমিকা আশা করেছিল। কিন্তু তেমন কিছু করেনি বন্ধু রাষ্ট্রটি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসিবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে লিমিডেটের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব আরস্তু খান, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

সূত্র: বাংলানিউজ

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন