Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

মিয়ানমারে কেন ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি বলেন নি পোপ ফ্রান্সিস

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

ক্যাথলিক খৃস্টানদের ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমারে গিয়ে কেন রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেন নি তার পক্ষে তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো পোপের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিলো।

বাংলাদেশ সফর শেষে বিমানে করে রোমে ফিরে আসার সময় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি তার সিদ্ধান্তের পক্ষে কিছু যুক্তি তুলে ধরেছেন।

তিনি বলেছেন, তার মিয়ানমার সফরে তিনি যদি তার ভাষণে রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করতেন তাহলে হয়তো আলোচনার দরজা পুরো বন্ধ হয়ে যেতো।

তিনি বলেন, তার সিদ্ধান্তের ফলে মিয়ানমারের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাথে আলোচনার সময় তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরতে পেরেছেন।

তিনি জানান, সেসব বৈঠকে তার সাথে যা আলোচনা হয়েছে তাতে তিনি সন্তুষ্ট। পোপ ফ্রান্সিস সাংবাদিকদের বলেন, “আমি চেয়েছিলাম আমার কথা তাদের কাছে পৌঁছে দিতে। সুতরাং আমি দেখলাম আমি যদি আমার ভাষণে ওই শব্দটি (রোহিঙ্গা) উচ্চারণ করি তাহলে হয়তো আলোচনার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।

তবে আমি পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছি। তাদের অধিকার ও নাগরিকত্বের কথা বলেছি। আমি এটা করেছি যাতে আমার সাথে ব্যক্তিগত বৈঠকের সময় আমি আরো আলোচনা করতে পারি।”

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাকে কোন জাতিগোষ্ঠী হিসেবে মনে করে না। কর্তৃপক্ষ তাদেরকে উল্লেখ করে ‘অবৈধ বাঙালি’ হিসেবে। মিয়ানমারের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছেও এই রোহিঙ্গা শব্দটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর।

পোপ ফ্রান্সিস আরো বলেন, তিনি যে তার এই সফরে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎ পাবেন এটা তিনি আগে থেকেই জানতেন। কারণ মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার আগে এটা একটা শর্ত ছিলো।

“আমি জানতাম রোহিঙ্গাদের সাথে আমার সাক্ষাৎ হবে। আমি জানতাম না কোথায় এবং কিভাবে,” বলেন পোপ ফ্রান্সিস। পোপ ফ্রান্সিস ঢাকায় তিনটি পরিবারের ১৮জন রোহিঙ্গার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তাদের মুখ থেকে শুনেছেন কোন পরিস্থিতিতে তারা কিভাবে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন।

এসব বিবরণ শুনতে গিয়ে তার কেমন লেগেছে সেকথাও পোপ ফ্রান্সিস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। “আমার কথা না শুনেই আমি তাদেরকে যেতে দিতে পারি না। আমি একটি মাইক্রোফোন চাইলাম। আমার মনে নেই আমি কি বলেছি। তবে আমি জানি যে কোন একটা সময়ে আমি ক্ষমার কথা বলেছিলাম।”

তারপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আপনি জানতে চেয়েছেন আমার কেমন লেগেছিলো। এক পর্যায়ে আমি কেঁদেও ফেলেছি। কিন্তু আমি চাইনি সেটা কেউ দেখুক। তারাও কেঁদেছে।”

রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশকে যেভাবে আশ্রয় দিয়েছে তারও প্রশংসা করেছেন পোপ ফ্রান্সিস।
রোহিঙ্গাদের সাথে পোপ ফ্রান্সিসের এই সাক্ষাতের ঘটনাকে দেখা হচ্ছে এই মুসলিম গোষ্ঠীটির সাথে সংহতি প্রকাশের একটি প্রতীক হিসেবে।

মিয়ানমার সফরে যাওয়ার পর পোপ ফ্রান্সিস চারদিন কূটনৈতিক বৃত্তের মধ্যেই ছিলেন। সেখানে তিনি মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতি সম্মান জানানোর কথা বললেও রোহিঙ্গা শব্দটি একবারের জন্যেও উচ্চারণ করেননি।

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর অভিযানের কারণে গত তিন মাসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান এই অভিযানকে পাঠ্য বইয়ে উল্লেখিত জাতিগত নিধনের সাথে তুলনা করেছেন।

তবে মিয়ানমার সরকার শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করছে।

 

সূত্র: বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন