মানিকছড়িতে শিক্ষক রমিজ মিয়ার নামাজে জানাজা সম্পন্ন

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:

মানিকছড়ি উপজেলার ‘ডাইনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের’ প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি রমিজ মিয়ার রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিহতের প্রতিষ্ঠান ডাইনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা এবং সামাজিক মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবা-মা’র কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।

নামাজে জানাজায় উপজেলার শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-ছাত্র সমাজ, অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করে সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রিয় শিক্ষককে রমিজকে শেষ বিদায় জানান।

৩০ ডিসেম্বর বিকালে জেএসসি’র ফলাফল বির্পযয় দেখে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি রমিজ মিয়া স্ট্রোক করেন। পরে তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করলে রাত ৭টায় তার মৃত্যু ঘটে।

রাত সাড়ে ৯টায় নিহতের লাশ বাড়িতে আনার আগেই হাজারো জনতার ভীড়ে এবং শোকাহত মানুষের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠছিল। উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক ও ছাত্রসমাজসহ সর্বজনতার ভীড় ডিঙ্গিয়ে শিক্ষকের নিথর দেহ দেখতে হিমশিম খেতে হয়েছে শোকাহত জনতাকে।

উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্র মারমা,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য এম.এ. জব্বার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এম.এ. রাজ্জাক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহ্সান উদ্দীন মুরাদ, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বাবুল, অফিসার ইনচার্জ মো. মাইন উদ্দীন খান, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও তিনটহরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিউল ইসলাম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নানসহ সকল রাজনৈতিক দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, অভিভাবক, ছাত্ররা নিহতের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে শোকাহত পরিবার-পরিজনকে সমবেদনা জানান।

নিহত রমিজ ১৯৯১ সালে মানিকছড়ির‘রাণী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ফটিকছড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইসএসসি পাস করে ১৯৯৪ সালে শিক্ষাবঞ্চিত নিজ এলাকা ডাইনছড়িতে প্রথম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

এদিকে নিহতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডাইনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়য়ে ৩ দিনের শোক দিবস ঘোষণা করেছেন শিক্ষকরা। জাতীয় পতাকার পাশাপাশি অর্ধনিমিত কালো পতাকা উত্তোলনসহ ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকরাও বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন