মাটিরাঙ্গায় অভিনব কায়দায় মোটর সাইকেল ছিনতাই

01.06.2014_Motrcycle Kidnaped Pic

মাটিরাঙ্গা সংবাদদাতা :

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মোটর সাইকেল চালককে গাছের সাথে বেঁধে রেখে অভিনব কায়দায় মোটর সাইকেল ছিনতাই করেছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। ঘটনার চার ঘন্টা পর রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার মোটর সাইকল চালক চরপাড়ার মো: ধনা ময়িা‘র ছেলে মো: খলিলুর রহমান (২৭) কে উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের চক্রপাড়া এলাকায়।

জানা গেছে, রোববার বিকাল সাড়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসী রিজেন ত্রিপুরা‘র নেতৃত্বে দুই উপজাতীয় যুবক মাটিরাঙ্গা বাজারে আসার কথা বলে চক্রপাড়া থেকে  যাত্রী বেশে মোটর সাইকেলে উঠে চক্রপাড়া রহিমের টিলায় আসা মাত্র সেখানে থাকা আরো দুই উপজাতীয় যুবক গাড়ী থামাতে বলে। মোটর সাইকেল থামানো মাত্রই কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই সন্ত্রাসীরা তাকে মারতে শুরু করে।

এক পর্যায়ে তারা তাকে গাছের সাথে বেধে হত্যার করার চেষ্ঠা করলে সে জীবন ভিক্ষা চেয়ে বলে তোমরা আমার মোটর সাইকেল নিয়ে যাও তবুও আমাকে জীবনে মেরে ফেলনা। আমি কাউকে বলবোনা। তখন উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা তাকে বেধম মারধর করে গাছের সাথে বেধে রেখে মোটর সাইকেলটি নিয়ে যায়।

দীর্ঘ সময়েও মোটর সাইকেল চালক মো: খলিলুর রহমান ফিরে না আসলে আত্মীয়-স্বজনসহ অন্যরা তাকে খুজতে থাকে।  তাকে না পেয়ে যখন সকলেই হতাশ তখন এক শ্রমিক মো: খলিলুর রহমান-কে গাছের সাথে বেধে রাকার খবর দিলে স্থানীয় রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন মাটিরাঙ্গা থানার এসআই কাজী মাহফুজ হাসান সিদ্দিক।

এ ঘটনায় এলাকায় মাটিরাঙ্গার সর্বত্র মৃদু উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন ধরনের পাহাড়ী-বাঙ্গালীর মধ্যে সামপ্রদায়িক সংঘর্ষ এড়াতে সেনাটহল বাড়ানো হয়েছে। সতর্কাবস্থায় রয়েছে পুলিশ। মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিকালে বিক্ষোভ কর্মসুচীর ডাক দিয়েছে মোটর সাইকেল চালকদের সংগঠন। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, ছিনতাই হওয়া মোটর সাইকেল উদ্দার করা না হলে কঠোর কর্মসুচীর ঘোষনা দিয়েছে সংগঠনরে সভাপতি মো: হাফেজ পাটোয়ারী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন