মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো মা সমাবেশ

Speech of chief guest-1111

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ‘শিক্ষা আমার সুযোগ নয়, অধিকার। এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), খাগড়াছড়ির সহযোগিতায় মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারি মা সমাবেশ আয়োজন করা হয়।সনাক সভাপতি প্রফেসর ড. সুধীন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন।

মা সমাবেশের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাক, খাগড়াছড়ির শিক্ষা বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ান। সনাক, খাগড়াছড়ি ও টিআইবি’র পক্ষ থেকে বিদ্যালয় সম্পর্কিত গৃহীত উদ্যোগসমূহ উপস্থাপন করেন টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার আব্দুল মান্নান আকন্দ। তিনি অক্টোবর ২০১৪ সাল থেকে মহালছড়া স: প্রা: বিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত সনাকের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত বিভিন্ন কার্যক্রমের বর্ণনা তুলে ধরেন।

বিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়াবলী নিয়ে উন্মোক্ত আলোচনা পর্বে বিদ্যালয়ের বিরাজমান সমস্যা ও সমাধানের জন্য ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আলোচনা করেন মা ও অভিভাবকবৃন্দ। আলোচনার উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ ছিল- নিয়মিত ক্লাশ অনুষ্ঠিত হওয়া, মনিটরিং বোর্ড হালনাগাদ ও স্বপ্রণোদিত তথ্যের উন্মুক্তত্তা, গুণগত শিক্ষা (ক্লাশটাইম, শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার, নিয়মিত, হাজিরা, সিলেবাস অনুযায়ী পড়ানো ইত্যাদি, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ ও উপবৃত্তি প্রাপ্তির নিয়মকানুন, বিভিন্ন উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ ও ব্যবহার সম্পর্কিত, দায়িত্ব প্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা/চাহিদারভিত্তিতে তথ্য প্রদান, শিক্ষা কর্তৃপক্ষের বিদ্যালয় পরিদর্শন ও সহযোগিতা প্রসঙ্গে, শ্রেণীকক্ষে যেকোনধরনেরশাস্তিপ্রদান প্রসঙ্গে, পানি/পয়: নিস্কাশনব্যবস্থা সম্পর্কিত, বইবিতরণ প্রসঙ্গে, ঝড়েপরা রোধে পদক্ষেপ ও শিক্ষার্থী বৃদ্ধি প্রসঙ্গে, শিক্ষকদেরশিক্ষার্থীরবাড়িপরিদর্শন প্রসঙ্গে, ক্লাশরুম (পরিষ্কার-পরিছন্নতা, চেয়ার, টেবিল বেঞ্চ ইত্যাদি), জেন্ডারবান্ধব/জেন্ডারসম্পর্কিতইস্যু ইত্যাদি।খেলার মাঠের প্রয়োজনীয়তার দাবী উত্থাপন করেন মায়েরা। একইসঙ্গে তারা মাঠের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে ডিপ টিউবওয়েল মেরামতের জন্য জোড় দাবী জানান। মায়েরা মনে করেন- রাজনৈতিক বৈষম্যের কারণে তাদের বিদ্যালয়ে এখনো কোন শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়নি। এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিশেষ অতিথি উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বেলা রানী দাশ বলেন- উপজেলাভিত্তিক বৃত্তির কোটা অনুযায়ী ঢাকা থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্থানীয় পর্যায়ে এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। তিনি শিক্ষক, অভিভাবক ও এসএমসি সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন- বৃত্তির জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। মুক্ত আলোচনার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন- বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌসুমী ত্রিপুরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উপস্থিত মায়েদের বক্তব্যের বিভিন্ন দাবি ও মতামতেরপ্রশংসা করেন।তিনি বলেন- ২০১৭ সালের প্রথম পর্যায়ে সনাকের সহযোগিতায় মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যে মাসমাবেশটি আয়োজন করলো তা শিক্ষার উন্নয়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সনাক সদস্য মধু মঙ্গল চাকমা, শরৎ কান্তি চাকমা, বিধান রায় বিশ্বাস ও স্বজন সদস্য সলিতা চাকমা, স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা, স্কুলব্য বস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সদস্যবৃন্দ, টিআইবির কর্মীবৃন্দ ও সনাক, খাগড়াছড়ির ইয়েস গ্রুপের সদস্যবৃন্দ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন