ভোট জালিয়াতির মধ্যদিয়েই চলছে কক্সবাজার পৌর নির্বাচন
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
নজিরবিহীন ভোট জালিয়াতি ও প্রভাব বিস্তারের মধ্য দিয়েই চলছে কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ভোটারের ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে নৌকায় সীল মেরে ব্যালট বক্সে প্রদান করারও অহরহ অভিযোগ উঠেছে। এতে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এক ধরণের অসহায় হয়ে পড়েছে।
বুধবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড, ৭নং ওয়ার্ড, ৮নং ও ২নং ওয়ার্ডে ব্যাপক জালিয়াতি ধরা পড়েছে। নৌকার নেতাকর্মী ছাড়া আর কোন প্রার্থীর সমর্থকরা নেই বললেই চলে।
তবে নাগরিক কমিটির প্রার্থী সরওয়ার কামালের কর্মী-সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে সাহসীকতার সঙ্গে প্রতিরোধ মোকাবেলা করছে বলে জানা গেছে।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ৭নং ওয়ার্ডের এবিসি ঘোনা কেন্দ্রে সরওয়ার কামাল প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রভাব বিস্তার ও ভোট জালিয়াতির বিষয়ে অভিযোগ দিলে উল্টো তিনি নৌকার কর্মী বলে ধমকের সাথে কথা বলেন। এভাবেই চলছে পৌরসভার নির্বাচন।
তবে সবচেয়ে কষ্ট হচ্ছে ভোটারদের। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে পৌর এলাকা। তবুও অনেক ভোটার হাটু পানিতে আসছে ভোট দিতে।
জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৭ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরী হয়েছে। সর্বত্র বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) বিকেলের মধ্যেই ব্যাপক নিরাপত্তা প্রহরার মধ্য দিয়ে পৌরসভার ৩৯ কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে ব্যালট পেপার, স্বচ্ছ ব্যালট বক্সসহ যাবতীয় নির্বাচনী সরঞ্জাম। মাঠে নামানো হয়েছে এক হাজারেও বেশি নিরাপত্তা কর্মীকে। আজ (বুধবার) নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের আগে ও পরে নির্বাচনী এলাকায় যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণণা করা হবে।
নির্বাচন ঘিরে ইতোমধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৪ জন পুলিশ থাকবে। আনসার থাকবে ১০ জন। প্রতি দুইটি কেন্দ্রের জন্য একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়াও দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর ছয়টি দল দায়িত্ব পালন করবে। ৩৯টি কেন্দ্রের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’