Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

ভাঙ্গন ও ভবন সমস্যায় পানছড়ি শান্তিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়

পানছড়ি, খাগড়াছড়ি:

পানছড়ি উপজেলার শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যে কোন মুহুর্তে চেংগী নদীর গর্ভে বিলীন হতে পারে। এ নিয়ে ক্ষুদে ক্ষুদে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে ।

সরেজমিনে বিদ্যালয় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া চেংগী নদীর বিশালাকার ভাঙ্গন প্রায় বিদ্যালয়ের কাছাকাছি। এই ভাঙ্গনের পাশে গিয়ে কোমলমতি শিশুরা খেলাধুলায় মগ্ন থাকে ।

রিনেশ চাকমা নামের ৩য় শ্রেণীর এক ছাত্র ভাঙ্গনে পড়ে আহত হওয়ার কথাও জানায় সহপাঠিরা। শুধু ভাঙ্গন সমস্যা নয় এই বিদ্যালয়ে রয়েছে শ্রেণীকক্ষের অভাব। ৮২ শিক্ষার্থীর অনুকুলে শ্রেণীকক্ষ রয়েছে মাত্র তিনটি।

১৯৬৬ সালে নির্মিত বিদ্যালয়ের বর্তমান ভবনটি তৈরি হয়েছে ১৯৮৬ সালে। ৩২ বছরের পুরনো ভবনটি অল্প বৃষ্টিতেই স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। যার ফলে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ও বিদ্যালয় ড্রেস প্রায়ই নষ্ট হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের দাবি বিদ্যালয়টি সংস্কার ও নদী ভাঙ্গন রোধ করা হোক।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিকা চাকমা জানায়, সদ্য তিনি এই বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন। বিদ্যালয়ে ৫জন শিক্ষকের মাঝে একজন ডেপুটেশনে ও একজন বিপিএড’এ প্রশিক্ষণরত আছে। বর্তমানে ৩জন শিক্ষক দিয়েই পাঠদান চলছে। তবে বিদ্যালয়ের সামনে চেংগী নদী ভাঙ্গন থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের সব সময় নজরদারিতে রাখতে হয়।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কুলো প্রদীপ চাকমা জানান, বিদ্যালয়টি এখান থেকে স্থানান্তর করা হবে তাই ভালো জায়গা খোঁজা হচ্ছে।

৫নং উল্টাছড়ি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত চাকমা জানান, এই বিদ্যালয়টিতে জাতীয় ও ইউপি নির্বাচনে প্রায় তিন হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। চেংগী নদীর ভাঙ্গনে বিদ্যালয়ের মাঠ অনেক ছোট হয়েছে। যার ফলে সামনের নির্বাচনগুলোতে লাইন করানো অনেক কষ্টকর হবে।

পানছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুজিত মিত্র চাকমা জানান, জায়গার অভাবে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন হচ্ছেনা। জায়গার কাগজ রেজি: করে জমা দিলে যে কোন মুহুর্তে কাজ শুরু করা যাবে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মান না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে মনের মাঝে আতংক বিরাজ করে বলে অভিভাবকদের দাবি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন