বৌদ্ধমূর্তি ভাংচুরের অভিযোগে মানববন্ধন: অথচ ওসি বলছেন এখানে কোন মূর্তি ছিলইনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানের লামায় বৌদ্ধ মূর্তি ভাংচুরের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। মঙ্গলবার লামা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অর্পন মহাজনের সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের বনপুর বাজারস্থ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জায়গায় গত রবিবার কতিপয় সস্ত্রাসীরা প্রবেশ করে বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও বৌদ্ধ মূর্তি ভাঙচুর করে। চিহ্নিত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করেন তারা।
সূত্র জানায়, গত ২ অক্টোবর রোববার রাত ২টা ৩০ মিনিটে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের আজিম, জসিম, কালাম, লুৎফর, শাহ আলম ও জাকের হোসেন মজুমদার সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০-৩০ জন বহিরাগত রোহিঙ্গা ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের বনপুর বাজারস্থ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জায়গায় প্রবেশ করে বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও বৌদ্ধ মূর্তি ভাংচুর করে এর প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অর্পন মহাজনের স্বাক্ষরিত আবেদন পাঠায়।
এদিকে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।
হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অর্পন মহাজন ও চংপাত ম্রো বলেন, আমরা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, সকালে বিহারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভূমিটি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই ভূমি নিয়ে মামলা, হামলা হয়েছে অনেকবার। বিরোধী ভূমিতে হিন্দু ও বৌদ্ধদের দু’টি টিনের ঘর আছে। এখানে কোন বিহার নেই এবং বৌদ্ধ মূর্তি ভাঙচুরের কোন ধ্বংসাবশেষও দেখতে পাননি জানিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।