parbattanews

বিলাইছড়িতে চার পাহাড়ী যুবক ৩ দিন ধরে নিখোঁজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়াতে চার পাহাড়ী যুবক তিনদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। ১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।

অপহৃত যুবকের নাম তুফান তঞ্চঙ্গা(২৬), পিতা সমূল্য তঞ্চঙ্গা। তার বাড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের গোয়াইনছড়ি গ্রামে।  নিখোঁজ অপর তিন যুবকের নাম আদর তঞ্চঙ্গা(২৫), পিতা- সাবেক চেয়ারম্যান চাথোই তঞ্চঙ্গা, রাজেশ তঞ্চঙ্গা(২৬) ও উদয় তঞ্চঙ্গা(৩০)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি গোয়াইনছড়িতে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, নিখোঁজ চার যুবক শনিবার সকাল ১১ টায় ফারুয়া ইউনিয়নের তক্তনালা বাজারে মটর সাইকেল সারাতে গিয়ে একসাথে বসে চা খায়। এরপর থেকে তাদের আর দেখা যায়নি।

ঘটনার কারণ হিসাবে জানা গেছে, ড. এফ দীপঙ্কর ভান্তে নামক এক ভান্তে গোয়াইনছড়িতে একটি কিয়াংঘর নির্মাণ করছে। স্থানীয় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কিয়াংঘরটি নির্মাণে সহায়তা করছে।

আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএসের একটি অংশ এই কিয়াংঘর নির্মানের বিরোধিতা করছে দীর্ঘদিন ধরে। কারণ ঐ ভান্তে স্থানীয়দের জেএসএসের চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতন করে থাকে। অপহৃত তুফান তঞ্চঙ্গার পিতা সমূল্য তঞ্চঙ্গা এই কিয়াংঘর নির্মাণে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কাজেই তার ছেলেকে অপহরণ করে কিয়াংঘর নির্মাণে বাধা দেয়ার উদ্দেশ্যে এই অহরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সমূল্য তঞ্চঙ্গার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পার্বত্যনিউজকে পুত্র অপহরণের কথা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় জেএসএস সভাপতি চন্দ্র চাকমা, সাধারণ সম্পাদক নীলু তঞ্চঙ্গা, সদস্য প্রদীপ তঞ্চঙ্গা অক্কা, মধু তঞ্চঙ্গা মিলে এই অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। নিখোঁজ আদর, রাজেশ ও উদয় চাকমা তাদের সাথে জড়িত। কারণ তাদেরকে গতকাল দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে কোনো মামলা করেছেন কিনা জানতে চাইলে সমূল্য তঞ্চঙ্গা আরো বলেন, আমি একটি মামলা ড্রাফট করে রেখেছি। কিন্তু স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি মিমাংসার আশ্বাস দেয়ায় এখনো অপেক্ষা করছি।

অপহরণের কারণ সম্পর্কে তিনি কিয়াংঘর নির্মাণের তার সম্পৃক্ততার কথা বলে জানান, তাকে থামাতে এ পর্যন্ত তার উপর দুইবার হামলা হয়েছে।

বিলাইছড়ি থানা সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।

Exit mobile version