বিলাইছড়িতে কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার-১

ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এজহারভুক্ত চাকমা দুই যুবককে আটক করা হয়েছিল। গত ১৪ জুন মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বিলাইছড়ি বাজার থেকে সুনীতিময় চাকমা (৩০) ও নয়নগোতি চাকমা (৩২) নামের এই দুই যুবককে আটক করে পুলিশ । পরে মেয়েটি বাদী হয়ে বিলাইছড়ি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। তবে মঙ্গলবার সকালে তাদের দু,জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে হয় বলে জানায় পুলিশ। এ সময় মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসলে মেয়েটি গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সুনীতিময় চাকমা নামের এজহারভুক্ত আসামীকে সনাক্ত করে।

বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাথে কথা বলে জানা গেছে, কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এজহারভুক্ত চাকমা দুই যুবককে আটক করা হলেও এদের মধ্যে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং এজহারভুক্ত আসামীকে কোর্টে চালান করে দিয়েছি। এখনও পর্যন্ত আর কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, রাঙমাটি জেলার কোতয়ালী থানার ধুল্লাছড়ি গ্রামের সুনীল কান্তি চাকমার মেয়ে (১৭) এবছর এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে। পরে উচ্চ মাধ্যমিকে অনলাইনে আবেদনের জন্য গত ২৯ মে বিলাইছড়ি বাজারের শিহাবের কম্পিউটারের দোকানে যায়। এ সময় স্থানীয় সুনীতিময় চাকমা (৩০), কৃষ্ণসুর চাকমা (২৫), পুলক চাকমা (২৮), সুজয় চাকমা (৩০), মানিক চাকমা (৩৫), বীর উত্তম চাকমা (২৭), নেলসন চাকমা (২৮)সহ ১৫ থেকে ২০ জন যুবক বাঙালী ছেলের সাথে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক আছে দাবী করে তাকে দোকানের মধ্যেই আটকে ফেলে মারধর করে।

পরে তাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে অপহরণ করে কেরণছড়ির অজ্ঞাত জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে পুণরায় মারধর, গালিগালাজ করে করে তার চোখ বেঁধে ফেলে কাপড় চোপড় খুলে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দিয়ে যৌন হয়রানী করে। এরপর ঘটনা কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলা হবে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

যুবকদের নির্যাতনে অসুস্থ্য হয়ে পড়া মেয়েটি ছাড়া পেয়ে গাছকাটা ছড়া আর্মি ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বর্ণণা দেয়। এ সময় মেয়েটির শরীরের কিছু অংশ রক্তাত্ত্ব দেখে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন