বিজিপি ফাঁড়িতে হামলা: নিহত ১৬

বিজিপি

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডুতে অজ্ঞাতনামা গোষ্ঠির হামলায় মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশ বিজিপির অন্তত ৯ জন সদস্য এবং ৭ জন হামলাকারী নিহত হবার পর টেকনাফে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্কতা নেয়া হয়েছে।- বিবিসি।

মিয়ানমারের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলছেন, রোববার ভোররাতে রাখাইন প্রদেশের মংডুতে বর্ডার গার্ড পুলিশের তিনটি পোস্টে হামলা চালায়।

টেকনাফে বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফট্যানেন্ট কর্নেল আবু জর আল জাহিদ জানিয়েছেন, রাতে গোলাগুলির শব্দ শোনার পর তারা দোভাষীর মাধ্যমে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী থেকেও তাদের জানানো হয়েছে যে তাদের কিছু আউটপোস্টে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে এবং সন্ত্রাসীরা যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

স্থানীয় কিছু সূত্র বিবিসির বার্মিজ সার্ভিসকে বলেছে, এই হামলার সাথে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন বা আরএসও জড়িত রয়েছে। তবে মিয়ানমার সরকার থেকে এটি এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

তবে বাংলাদেশের একটি নিরাপত্তা সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে পার্বত্যনিউজকে বলেন, বর্তমানে আরএসও’র যে সামরিক শক্তি রয়েছে তাতে একসাথে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর এতোগুলো ক্যাম্পে হামলার সক্ষমতা রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

সূত্রের কাছে প্রাপ্ত তথ্য মতে, নাসাকা বাহিনী ভেঙে মিয়ানমার বিজিপি গঠন করে। এসময় নাসাকার সদস্যরা বিজিপিতে যোগ দিলেও সব নাসাকা সদস্য বিজিপিতে যোগ দিতে পারেনি। এই যোগ দিতে না পারা নাসাকা সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ ও বিক্ষোভ রয়েছে। এই বিক্ষুদ্ধ ও অসন্তুষ্ট নাসাকা সদস্যরা এ হামলা চালাতে পারে বলে তারা তথ্য পেয়েছেন। এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও জানায় এই সূত্রটি।

সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সশস্ত্র হামলার পরপরই মায়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় জরুরী অবস্থা জারী করা হয়েছে। চলানো হচ্ছে ব্যাপক ধরপাকড়। শুরু হয়েছে রাখাইন এলাকায় দফায় দফায় দাঙ্গা হাঙ্গামা। বহু লোক নিহত হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে।

সর্বশেষ খবরে জানা যায়, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের ৪৮ কিলোমিটার জুড়ে মায়ানমারের সেনাবাহিনী মোতায়েন সহ টহল দিচ্ছে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বিজিবি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ সহ বাড়তি নিরাপত্তা ও অতিরিক্ত সতর্কাবস্থা জারি করেছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম এলাকায় অবস্থান করে আরএসও তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করে মিয়ানমার।

এর আগে এবছরের মে মাসে টেকনাফের একটি আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে একজনকে হত্যা এবং ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি লুটের ঘটনায়ও আরএসও জড়িত ছিল বলে বাংলাদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আরএসও, নাসাকা, বিজিপি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন