বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজের দেয়ালে রডের বদলে বাঁশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজের ড্রপ ওয়াল নির্মানে রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ। বুধবার কলেজের নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের বারান্দায় ড্রপ ওয়ালে রডের ফাঁকে ফাঁকে বাঁশ ব্যবহার করতে দেখা যায়।

জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউএন এন্টার প্রাইজের ৮১ লাখ টাকার কাজটি আওয়ামী লীগ নেতা ঠিকাদার উজ্জল বাবু পরিচালনা করছেন।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, সরকারি মহিলা কলেজের ৪তলা ভবনের ড্রপ ওয়ালের নির্মাণ কাজে রডের পাশাপাশি চিকন কাটা বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রতিটি ধাপে রডের পাশাপশি বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে প্রায় ২০০শ ফুটেরও বেশি লম্বা ড্রপ ওয়ালে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে।

কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, কয়েকদিন ধরে আমাদের কলেজের চারতলায় ভবনের কাজ চলছে। সকাল থেকেই শ্রমিকরা বড় বড় বাঁশ চিকন করে কাটছিল। বিকালে দেখি রডের ফাঁকে ফাঁকে ওই বাঁশগুলো ব্যবহার করছে। তাদের ধারনা ভবনটিতে ঠিকাদার আগেও বাঁশ ব্যবহার করেছে।

নির্মাণ শ্রমিক আকবর বলেন, ঠিকাদারের নির্দেশনায় রড আর বাঁশ একসাথে ব্যবহার করলে কাজটি অনেক শক্ত ও টেকসই হয়। তাই আমি বাঁশ ব্যবহার করছি।

ঠিকাদার উজ্জল বাবু বলেন, দেয়ালে সিমেন্ট ভাল করে লাগার জন্য নির্মাণ শ্রমিকরা বাঁশ ব্যবহার করছিল। তবে বিষয় জানার পরপরই আমি আমার শ্রমিককে বাঁশ খুলে ফেলতে বলেছি। তবে যতটুকু রড ব্যবহার করার কথা ছিল তার থেকে কম রড ব্যবহার করা হয়নি।

এ ব্যাপারে বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ বড়ুয়া বলেন, আমি কলেজে নাই। তবে রডের পরিবর্তে বাঁশ দেবার কথা শুনে তাৎক্ষণিক ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছি। ঠিকাদার যে কাজটি করেছে তা বড়ই অন্যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুর হোসেন জানান, চিকিৎসার জন্য আমি চট্টগ্রামে এসেছি। দীর্ঘদিন কলেজের ড্রপ ওয়ালের কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু কাজ শুরু করে বাঁশ কেন দিচ্ছে জানি না। আগামীকাল বান্দরবানে এসে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।

কাজটি কে করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউএন এন্টারপ্রাইজের নামে কাজটি করছে আওয়ামী লীগ নেতা উজ্জল বাবু ও ভাগিনা তাপস।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল আজিজ উদ্দিন বলেন, মহিলা কলেজে বাঁশ দেওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমি এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন