parbattanews

বাইশারীতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ৩ সন্তানের জনকের আত্মহত্যা

বাইশারী প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পূর্ব বাইশারী গ্রামে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিন সন্তানের জনক আত্মহত্যা করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার(৩০ মার্চ) বেলা ১২টা ৩০ মিনিটের সময় নিজ বসতবাড়িতে। নিহত ব্যক্তি হলেন একই ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত সুলতান আহমদের পুত্র মো. আবু তাহের (২৫)।

নিহতের স্ত্রী সাজেদা ইয়াছমিন জানান, তিনি সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে গোসল ও কাপড়চোপড় ধুলাই করতে যাই। কাপড় ধুলাই শেষে বাড়ি ফিরে দেখতে পাই তার স্বামী ঘরের সিলিং এর গাছের সাথে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। ঐ সময় তিনি দা নিয়ে ঝুলন্ত রশি কেটে ফেলে এরপর তার  চিৎকারে আশপাশে লোকজন এগিয়ে এসে ফাঁস লাগানো ব্যক্তিকে উদ্ধার করে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই সময় খবর পেয়ে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আবু মুসা ঘটনাস্থলে যান। তিনি গলায় ফাঁস লাগানো বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি রশি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিন সন্তানের যুবকের আত্মহত্যা বিষয়ে এ পর্যন্ত কোন ধরনের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন।

সরজমিনে মনিরা বেগম, সেলিনা আক্তার, সাদ্দাম হোসেন ও আব্দুর রহিমের সাথে কথা বলে জানা যায়, মো. আবু তাহের (২৫) এর সাথে দীর্ঘ আট বছর আগে পার্শ্ববর্তী মৃত আহমদ হোছনের মেয়ে সাজেদা ইয়াছমিন এর সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভালই চলছিল। স্বামী দিনমজুর হলেও তাদের ভিতর কোন ধরনের ঝগড়া-বিবাদ পার্শ্ববর্তী লোকজন দেখেনি বলে জানান। তারপরও রহস্য ঘেরা বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কেন সে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা পথ বেছে নিলেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের জানান, বিয়ের পর থেকে বড় ধরনের কোন ঘটনা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দেখা যায়নি।

বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং ফাঁস লাগানো ব্যক্তিকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এই রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত মৃত ব্যক্তি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর শেখ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মৃত ব্যক্তির লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রয়েছে এবং ময়না তদন্ত শেষে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

Exit mobile version