পেকুয়ায় পৃথক ডাকাতি,  হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা

হামলা

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়নের উত্তর সুন্দরী পাড়া এলাকায় এক জেলে পরিবারের উপর দূর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে জেল দম্পতিসহ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জেলে দম্পতি মো: জাকের (৩৫) ও তার স্ত্রী রুজিনা আকতার (২৮) গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত জাকের একই এলাকার নুরুল হকের পুত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাতে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ওই জেলে পরিবারের উপর হামলা চালায় একই এলাকার মো: শরীফের পুত্র মো: জালাল, তার ভাই আবু ছৈয়দ, মো: শরীফের পুত্র আফজাল করিম, আফজাল করিমের পুত্র শমসু ও জসিমসহ সংঘবদ্ধ একদল দূর্বৃত্ত জাকের ও তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে জেলে দম্পতিকে মারধর করে আহত করে। এসময় সন্ত্রাসীরা জাকেরকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলিও ছুড়ে। তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূর ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মনজুর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, এলাকার কিছু চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ওই জেলে পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে। এব্যাপারে পেকুয়া থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভূঁইয়া জানান   পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে পেকুয়ায় এক বসতবাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় খবর পেয়ে স্থানীয়রা সশস্ত্র ডাকাতদলের সদস্যদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। জনতা তিন দিক থেকে তাদের ডাকাতদলকে ঘিরে রাখলে ডাকাতরা  কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ১২অক্টোবর সাড়ে ৮টার দিকে ১০-১২জনের সশস্ত্র ডাকাত দল উত্তর সুন্দরীপাড়া মৃত.তোফাজ্জল আহমদের ছেলে শাহ আলম মাঝির বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্নালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতরা শাহ আলম মাঝির মেয়ে সুন্দরী পাড়া আজগরীয়া মেহেরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী ও তার মা পাখি বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। তাদের আর্ত চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ডাকাতদের পাকড়াও করার চেষ্টা করলে ডাকাতরা ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পেকুয়া থানার এসআই সরোজ রতন আচার্য্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। শাহ আলম মাঝির স্ত্রী পাখি বেগম জানান ডাকাতদের মধ্যে জাকের হোসেন ও মো.আলমকে চিনেছি। অন্যদের চিনতে পারেনি। তারা আমাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। স্বর্নালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।

পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানান ডাকাতির খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

এ ব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) মতিউল ইসলাম জানায়, বিষয়টি জানার পর দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পেকুয়া থানার ওসিকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন