পেকুয়ায় নির্বিচারে চলছে পাহাড় কাটা, প্রশাসন নীরব

pic pahar kata pekua (2)
নিজস্ব প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রশাসনের নাকের ডগায় নির্বিচারে বনবিভাগের পাহাড় কেটে  মাটি পাঁচার করায় পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি গ্রামীণ রাস্তাঘাটগুলো চলাচল অনুপযোগী হয়ে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের মাঝেরঘোনা এলাকায় প্রায় ৪-৭টি পয়েন্টে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মো. আবদুস ছালামের ছত্রচ্ছায়ায় গত কয়েকমাস যাবত ওই মহল্লার প্রায় ৫-৭টি প্রভাবশালীর ভোগদখলীয় রিজার্ভ বসতবাড়ির পাহাড় অবাধ নির্বিচারে কেটে মাটি পাচার বাণিজ্য চলছে।

সরেজমিন পরিদর্শনেও বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হয়ে অভিযুক্ত উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মাঝেরঘোনা এলাকার মৃত আজম উল্লাহর পুত্র প্রবাস ফেরত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবদুস ছালামের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে, তিনি পাহাড় কাটা ও বনজ সম্পদ পাচার বৈধ না অবৈধ সে বিষয়ে তার ধারণা নেই জানিয়ে বলেন, রিজার্ভ পাহাড়ে বসতি স্থাপন কারীরাই তাদের বসতভিটার পাহাড় কেটে মাটি পাচার বাণিজ্য করছেন। তিনি শুধু পরিবহনের ঠিকাদারী করছেন মন্তব্য করে বলেন, এ ব্যবসার জন্য তিনি থানার মেচ ম্যানেজারের সাথে প্রশাসন, থানা পুলিশ, বনবিভাগ ও সাংবাদিক ম্যানেজের চুক্তি সাপেক্ষেই সবকিছু করছেন।

অন্যদিকে, একই ইউনিয়নের জারুলবনিয়া ছড়া হতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট সরকারী নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অবৈধ বালি আহরণ ও পাচার ব্যবসা শুরুর খবর পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার মৃত গোলাম সুলতানের পুত্র মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে জারুলবনিয়া ছড়া হইতে সরকারী বনজ সম্পদ বালি আহরণ ও পাচার বাণিজ্যে মেতেছেন। যোগাযোগ করলে তিনিও থানার মেচ ম্যানেজার কাশেমের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমেই সব কিছু করছেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, গতবছরও এনিয়ে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে বালি দস্যতায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে জরিমানা ও বালিজব্দে নিলাম করা হলে সরকারের কোষাগারে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা রাজস্ব জমা পড়ে।

এবিষয়ে ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিষয়টি তার নজরে কেউ দেয়নি মন্তব্য করে বলেন, শীঘ্রই খোঁজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন