Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

পেকুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ

পেকুয়া  প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ করে কয়েক শতাধিক মাছ নিধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (২২জুলাই) উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ভেলুয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে রুই, কাতলা ও তেলাপিয়া জাতের আনুমানিক দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ মারা গেছে। মৎস খামারটি মালিক একই এলাকার আশরাফ জামানের ছেলে তোফাইল উদ্দিন।

মৎস্য খামারি তোফাইল উদ্দিন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দীর্ঘদিন যাবত আমার সাথে শত্রুতা করে আসছিল একই এলাকার আবু জাফরের পুত্র রুহুল কাদের ও কামাল হোসেনের পুত্র জাবেদ করিম। তারা আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘর ছাড়া করে। আমি বাড়িতে না থাকাবস্থায় আমার স্ত্রী পারভিন আক্তার রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার পুকুরের পাড়ে তাদের ঘুরাঘুরি করতে দেখেন। পরদিন সকালে পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখা গেছে। গত ১২ জুলাই একইভাবে আমার পুকুরে বিষপ্রয়োগ করে তারা ৫ মণ মাছ ও পেঁপে গাছ হত্যা করে লাখ লাখ টাকা ক্ষতি করেছিল। যা স্থানীয় পত্রিকায় বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ হয়।

তোফাইল উদ্দিনের স্ত্রী পারভিন আকতার বলেন, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রুহুল কাদের ও জাবেদ করিম পুকুর পাড়ে ঘুরাঘুরি করছিল। আমি এর কারণ জানতে চাইলে মারধরের চেষ্টা করে। সকালে লক্ষাধিক টাকার মাছ মারা যায়। তারাই এ মাছগুলো হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, তাদের মামলার কারণে আমার স্বামী বাড়িতে থাকতে পারেনা। এর সুযোগে তারা আমার একা বাড়িতে এসে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে যায়। তাদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারিনা। তাদের শত্রুতা থাকলে তা আমাদের সাথে। কিন্তু মাছের সাথে কিসের শত্রুতা ? এ বিষয়ে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

এদিকে অভিযুক্ত জাবেদ করিম বিষপ্রয়োগে মাছ হত্যার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অপরাগত প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান বলেন, এ ঘটনায় এখনো আমি লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন