পালিয়ে আসা চাক উপজাতিরা এখনও বাড়ি ফিরেনি

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

নাইক্ষ্যংছড়িতে ফিল্মস্টাইলে গণ ডাকাতি ও হুমকির ঘটনার পর সতর্ক রয়েছেন পুলিশ ও বিজিবি। তারা ডাকাত কবলিত এলাকা গুলোতে রাত-দিন টহলের পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন ডাকাতদের আটকে। পাশাপাশি পাড়া ও হাট-বাজারে পাহারাও বসিয়েছেন পুলিশ ও জনপ্রতিনিধির যৌথ উদ্যোগে। এদিকে ডাকাতের হুমকিতে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে আসা চাক উপজাতি ৫ পরিবারের লোকজন এখনও তাদের বাড়ি ফিরে যায়নি।

তারা শনিবার(১৭ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা নাগাদ অভয়ে রাত যাপন করে যাচ্ছে মধ্যম চাক পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পালিয়ে আসা পরিবারের সদস্য মংচিন চাক।

সে  জানান, তারা খুবই কষ্টে আছেন। আর অসহায় অবস্থায়ই রয়েছে এ পর্যন্ত। এদিকে এ স্কুলে আশ্রিতদের সহায়তার জন্যে এগিয়ে আসেন নাইক্ষ্যংছড়ি আওয়ামী লীগের নেতা অধ্যাপক শফিউল্লাহ। তিনি এ সব লোকদের  মানবিক সহায়তা দেন যেন আপাতত জীবন চলে।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর শেখ জানান, সোনাইছড়ির ঘটনার পর থেকে তিনি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রতিটি বাজার এবং দুগর্ম পাহাড়ি গ্রাম ও পাড়ায়-পাড়ায় পাহারা বসানোর ব্যবস্থা করানো হয়েছে। লোকজন যেন আরামে ঘুমাতে পারে।

তিনি আরো জানান, আর সোনাইছড়ি ঘটনায় সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্হাইন মার্মা বাদি হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি ছিনতাইয়ের মামলা করেছেন গতকাল সন্ধ্যায়। পুলিশ এ মামলার  সূত্র ধরে আসামি আটকে অভিযান চালাচ্ছে রাত-দিন।

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি-সোনাইছড়ি সড়কের দুর্গম জুমখোলা নতুন রাস্তার মাথায় এক গণডাকাতির ঘটনায় টাকাসহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করেছিল ডাকাত দল। ফিল্মস্টাইলে ভারী অস্ত্র হাতে হাফপ্যান্ট পরা ১৫ সদস্যের এ দলটি উপজাতীসহ অন্তত ৩০ লোকজন থেকে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। যাদের মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়ী, পাথচারী, গাড়ি চালক ও ২ ইউপি চেয়ারম্যান। এ সময় ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ডাকাতদল।

এ  ঘটনার পরদিন  শুক্রবার(১৭ফেব্রুয়ারি)  সকালে স্বশস্ত্র এ ডাকাতদলটি  পার্শ্ববর্তী সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাত ঘরিয়া গ্রামের চাক উপজাতি লোকজন থেকে চাঁদা দাবি করায় এবং তাদের খুন করার  হুমকি দেয়ায় কারণে তারা পালিয়ে আসে আশ্রয় নেয় একটি স্কুলে। যেখানে তারা এখনও অবস্থান করছেন।

শনিবার সন্ধ্যায় এ আশ্রিতরা জানান, তারা এখনও তাদের বাড়ি ফিরে যায় নি। তারা অসহায়। তাদের জন্যে  সহায়তা প্রয়োজন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন