মিয়ানমারের পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল নেয়ার অঙ্গীকার

বার্মা টাইমস-এর খবর

 

10369134_626338567462006_4373980107619679697_n

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে সতর্ক বিজিবি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মর্টার শেলে মিয়ানমারের কমপক্ষে ৪ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। ৩০ মে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির সময় বিজিবি ওই মর্টার ছোড়ে। ওদিকে, বাংলাদেশের মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বার্মিজ ইউনাইটেড আর্মড ইউনিট (বিইউএইউ)। তারা টেকনাফ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল নিতে বদ্ধপরিকর। গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন বার্মা টাইমস।

এতে বলা হয়, ইয়াঙ্গনের এক মেজর বলেছেন, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে পশ্চিম গেটে বাংলাদেশীদের গতিবিধি লক্ষ্য করছে সে দেশের সেনারা। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পেট্রল টিম (বিজিবিপিটি) সামনে অগ্রসর হলে তার কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত বিইউএইউ। এতে আরও বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাদের তুলনায় বাংলাদেশে রয়েছে এক-চতুর্থাংশ সেনা সদস্য। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কোন ব্যবস্থা নিলে মিয়ানমারের ‘তাতমাড’ (সেনারা) টেকনাফ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল নিতে বদ্ধপরিকর। নেপিড’র সূত্রমতে, বার্মিজ ইউনাইটেড আর্মড ইউনিটে রয়েছে আধাসামরিক বাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ইতিমধ্যে তারা বাংলাদেশী বিজিবির অগ্রগমন প্রতিরোধের জন্য মিয়ানমারের পশ্চিম গেট এলাকায় টহল দিচ্ছে। এ ঘটনায় পশ্চিমগেট (মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত) এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গারা ভয়াবহ এক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। তাদের মিয়ানমারের বিইউএইউ-এর ভারি জিনিসপত্র বহন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা অধিবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন যে, তাদের ব্যাপক হারে গ্রেপ্তার করতে পারে বিইউএইউ। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, বেশ কিছু রোহিঙ্গাকে বিইউএইউ-এর জন্য নির্ধারিত পোশাক পরিয়ে পশ্চিমগেটে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

বার্মিজ বর্ডার পুলিশ যে সব স্থানে তাদের তাঁবু পেতেছে ভয়ে সে সব স্থানের মানুষ পাহাড়ি জঙ্গল থেকে ফিরে আসছেন না। ওদিকে একই ওয়েবসাইট আরেক রিপোর্টে বলেছে, গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলেছে, বিজিবির মর্টারশেলের আঘাতে মিয়ানমারের কমপক্ষে ৪ সেনাসদস্য নিহত হয়েছে। সূত্র বলেছে, যখন বিজিবি নিহত নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের মৃতদেহ গত বুধবার আনার চেষ্টা করে তখন মিয়ানমারের বাহিনী তাদের ওপর প্রকাশ্যে তিন দিক থেকে গুলি করে বর্ডার পিলার ৫২ এলাকায়।

ওই সময় বিজিবি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ আহমেদ আলী, আঞ্চলিক কমান্ডার (চট্টগ্রাম)। তার সঙ্গে ছিলেন বিজিবির অন্য সিনিয়র কর্মকর্তা। এর মধ্যে ছিলেন কর্নেল ফরিদ হাসান খন্দকার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিকুর রহমান।

মিয়ানমারের আক্রমণের জবাবে বিজিবি পাল্টা হামলা চালায়। এতে পাঁচ ঘণ্টা লড়াই চলে। দু’পক্ষই ব্যবহার করে মর্টার, রকেট লঞ্চার ও ভারি মেশিন গান।

সূত্র: মানবজমিন

আরও খবর

নতুন রাষ্ট্র সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং কক্সবাজার নিয়ে

কি ঘটবে পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধন প্রস্তাব কার্যকর হলে?

পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা-বাঙ্গালী প্রত্যাহার ও খ্রিস্টান অঞ্চল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়ি, পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল, বান্দরবান
Facebook Comment

2 Replies to “মিয়ানমারের পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল নেয়ার অঙ্গীকার”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন