parbattanews

পারমিট লামার, পাথর বাইশারীর-দুই শ্রমিকসহ পাথর বোঝাই ট্রাক আটক

বাইশারী প্রতিনিধি:

পরিবেশ রক্ষায়  মরিয়া এ সরকারের কঠোর নির্দেশ অমান্য করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বাকঁখালী মৌজার বিভিন্ন স্পটসহ আরো বেশ কয়েক এলাকা থেকে ২ বছর ধরে পাথর উত্তোলন করছে বহিরাগত ১০ প্রভাবশালী। তারা অবৈধভাবে পাচার করে এ পাথর নিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী লামা উপজেলা হয়ে দেশের নানা স্থানে। এ সব পাথর ব্যবসায়ী পার্শ্ববর্তী লামা উপজেলার বিভিন্ন স্পটে পাথর উত্তোলন স্থানের ভূয়া কাগজ সৃজন করে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে এসব করছে নিয়মিত।

এ ধরনের অবৈধ পন্থায় পাথর পাচারের সময় নাইক্ষ্যংছড়ি  উপজেলা নির্বার্হী অফিসারের নির্দেশে চালক ও  ১ শ্রমিকসহ পাথর বোঝাই ১টি ট্রাক আটক করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী ইনচার্জ ওমর ফারুক সঙ্গীয় ফোর্সসহ। শনিবার(২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আটক হওয়া চট্টগ্রাম, ল-১৭৭৮ নম্বরের ট্রাকটি বর্তমানে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের হেফাজতে রয়েছে। আটক গাড়ি চালক হলেন, লোহাগাড়া থানার বাসিন্দা আহামদ কবির (৩৫), অপর শ্রমিকের নাম পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, পাথরবোঝাই এ ট্রাকটি আটক হয় বাইশারী ইউনিয়নের ২৮৩ নম্বর ঈদগড় মৌজার রাঙ্গাঝিরি কাগজীখোলা সড়ক থেকে। বহরের আরো ৭টি ট্রাক পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় বাইশারী ইউনিয়নের ঈদগড়-ফাঁসিয়াখালী সড়ক হয়ে লামা হয়ে চকরিয়ার দিকে। এ ৮টি ট্রাক বাইশারী ইউনিয়নের বাকঁখালী মৌজা, কুরীক্ষ্যং মৌজা সহ আরো কয়েকটি স্পট থেকে পাথর উত্তেলন করে পাচারের কাজে লিপ্ত ছিল। আর এ সময় প্রশাসনের নজরে আসে এ বিষয়টি।

অপর একাধিক সূত্র দাবি করেছেন, পাথর ব্যবসায়ী যথাক্রমে কক্সবাজারের ডুলাহাজারা এলাকার সোহেল মোহাম্মদ ভূট্টু, ফাঁসিয়াখালীর গিয়াস উদ্দিন ও চকরিয়ার হুমায়ুন চৌধুরী এবং ঈদগড়ের মোজাম্মেল হক ধলাইয়াসহ ডজনাধিক প্রভাবশালী এ কাজে লিপ্ত রয়েছে র্দীঘ দিন যাবত। তারা বনবিভাগ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে ম্যানেজ করে বেআইনি ও পরিবেশ নষ্টের এ কাজটি  করে যাচ্ছে প্রকাশ্যে। তারা লামা এলাকার মাত্র ২ হাজার ফুটের পাথর আহরনের একটি টিপির ফটো কপি লোকজনকে প্রদর্শন করে এখান থেকে পাথর পাচার করছেন লামায়। অর্থাৎ কাগজপত্র লামা উপজেলার আর পাথর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তবে জেলা বান্দরবান ঠিক আছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল জানান, তিনি অবৈধভাবে পাথর আহরণ ও পাচারের খবর শুনে বিহিত ব্যবস্থা নিয়েছেন। বর্তমানে পাথর বোঝাই ১টি ট্রাক তার নির্দেশে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রে আটক রয়েছে।

তিনি আরো জানান, বাইশারীতে বহিরাগত কিছু প্রভাবশালী লামা এলাকার ভূয়া কাগজ ব্যবহার করে পাহাড়ি পথ দিয়ে পাথর পাচারে লিপ্ত। তারা দীর্ঘ দিন ধরে এ কাজ করলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারণে কেউ মুখ খুলেনি। এখন প্রশাসন চোখ খুলেছে-তাই আর অবৈধভাবে কেউই পাথর পাচারসহ অন্যান্য কাজের মাধ্যমে পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কাজ করতে পারবে না।

এ বিষয়ে পাথর সিন্ডিকেটের সদস্য মোজাম্মেল হক ধলাইয়া সাংবাদিকদের জানান, তারা বৈধ কাগজপত্র নিয়ে নিলামে দেওয়া পাথর গুলো নিয়ে যাচ্ছিল।ওই সময় পুলিশ ট্রাকটি আটক করে নিয়ে আসে। তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে কোন ধরনের পাথর তারা পাচার করছেনা।

Exit mobile version