পহেলা মে থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ, পরিবহন নিষিদ্ধ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে প্রাকৃতিক প্রজনের মাধ্যমে মাছের বংশ বৃদ্ধি ও অবমুক্ত পোনার যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হ্রদে মাছ শিকার, বিপনন ও পরিবহন বন্ধে আগামী তিন মাসের জন্য বিধি-নিষেধ জারী করেছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। সোমবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে-সোমবার (৩০এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে চলতি বছরের ৩১জুলাই পর্যন্ত হ্রদে মাছ শিকার, হ্রদের মাছ বিপনন, পরিবহন এবং স্থানীয় বরফকল বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
এসময়ের মধ্যে কেউ যদি এ আদেশ অমান্য করে কোন উপায়ে হ্রদে মাছ শিকার, বিপনন এবং পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হ্রদের মাছ অবৈধ শিকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে নৌ পুলিশ, বিজিবি এবং মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের কর্তৃপক্ষ টহল জোরদার রাখবে। এছাড়া হ্রদে অবৈধ মৎস্য শিকারীদের শাস্তি প্রদানে মোবাইল কোর্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে হ্রদের ৪টি গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। অভয়াশ্রমগুলো হলো- জেলা প্রশাসকের বাংলো ঘাট, রাজবন বিহার ঘাট, লংগদু উপজেলা ইউএনও অফিস ঘাট এবং নানিয়ারচর ছয় কুড়ি বিল। এই অভয়াশ্রমগুলোতে সারা বছর মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকবে।
এদিকে হ্রদে তিন মাস মাছ আহরণ বন্ধকালীন সময়ে নিবন্ধিত জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিমাসে ২০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হবে বলেও জেলা ত্রাণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার (নৌবাহিনী) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মাছ ধরা বন্ধ মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে ৩০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে।
কমান্ডার আরও বলেন, মে মাসের শুরুতে ১৫ মেট্রিক টন এবং সেপ্টেম্বর মাসে বাকি ১৫ মেট্রিক টন মাছের পোনা কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করা হবে।
কমান্ডার জানান, গত বছর সারা দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ভূমি ধ্বসের কারণে জেলেদের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া সম্ভব না হলেও এবার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মে মাসেই জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।