নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়িতে ৩ বসতবাড়ি ও ২ দোকানে দূর্ধর্ষ ডাকাতি, আহত ৪

বাইশারী প্রতিনিধি:

পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার দুর্গম ইউনিয়ন সোনাইছড়িতে এক রাতে তিন বসত বাড়ি ও রাস্তার পাশে থাকা ২টি দোকান ঘরে দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় প্রতিরোধ করতে গিয়ে ডাকাত সদস্যদের প্রহারে গুরুতর আহত হয়েছেন চার গৃহকর্তা।

আহতরা হলেন, সোনাইছড়ির জারুলিয়াছড়ি এলাকার বাসিন্দা মনু মিয়ার পুত্র মো. শফিকুল ইসলাম (৫৫), একই এলাকার মৃত বদিউল আলমের পুত্র মো. শাহজাহান (৩৫), মোক্তার হোছন (৫০) ও তার স্ত্রী রিনা আক্তার (৩৫)। আহতদের মধ্যে শাহজাহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার দুই হাতের কব্জি কেটে ফেলেছে ডাকাতদলের সদস্যরা। আহতদের নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি ঘটায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত শাহজাহানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী গৃহকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ১৫/২০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল জারুলিয়াছড়ির ৩টি বসত বাড়ি ও রাস্তার পাশে থাকা ২টি দোকান ঘরে লুটপাট চালিয়ে অন্তত ৩ লক্ষ নগদ টাকা এবং স্বর্ণের কানের দুল ২টি, ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়।

ডাকাতদলের প্রহারে আহত হওয়া মোক্তার হোছন জানান, গভীর রাতে ১৫/২০ জনের মুখোশ পরিহীত সশস্ত্র ডাকাতদল তার বাড়িতে এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে অতর্কিত হানা দেয়। ওইসময় বাঁধা দিতে গেলে তাকে এলোপাতাড়ী মারধর করে। তাদের সকলের হাতে দেশীয় তৈরি এক নলা বন্দুকসহ দা, চাপাতি ছিল। ডাকাতদলের সদস্যরা তার বাড়ি থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) জায়েদ নুর জানান, দূর্ধর্ষ ডাকাতির খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ডাকাতদলের সদস্যদের ধরতে সম্ভাব্য স্থানে পুলিশ সাড়াশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস পূর্বেও একই গ্রামে সশস্ত্র ডাকাতদলের সদস্যরা লুটপাট চালায়। ডাকাতির ঘটনায় ভয়ে ৫ চাক পরিবার পাড়া থেকে পালিয়ে গিয়ে পাশ্ববর্তী স্কুলে আশ্রয় নেন। এঘটনার রেশ না কাটতেই আবারও দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এখনো থানায় মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও পুলিশ জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন