নাইক্ষ্যংছড়িতে ৪ তামাক চাষীকে অপহরণ

বাইশারী প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের লংগদুর মুখ এলাকা থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চার তামাক চাষীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

শনিবার(২০ জানুয়ারি) ভোররাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অপহৃতরা হলেন, রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের থোয়াঙ্গাকাটা গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আলমের পুত্র আব্দুল আজিজ (১৬), একই গ্রামের বাসিন্দা আবদু রহমানের পুত্র আব্দুর রহিম (২৫), থিমছড়ি গ্রামের বাসিন্দা রদিশ আহামদের পুত্র শাহ আলম (৪০), অপরজন দোছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত আলী মদনের পুত্র আবু সৈয়দ (৪২)।

স্থানীয়রা জানান, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের লংগদুর মুখ এলাকার একটি খামার বাড়ি থেকে ১০/১২জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে এ ৪ তামাক চাষীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপহৃতদের উদ্ধারে আশপাশের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এছাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের থ্রি স্টার রাবার বাগানেও সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বাগান পাহারাদার আব্দু শুক্কুরকে মারধর ও রক্ষিত মালামাল নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

অপহৃত আব্দুল আজিজের পিতা নুরুল আলম জানান, তার ছেলেকে অপহরণের বিষয়টি তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে শুনেছেন। তবে এ পর্যন্ত কোন ধরনের মুক্তিপনও ছেলের বিষয়ে খোঁজখবর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য গত কয়েক মাস আগেও দোছড়ি ইউনিয়নের ছাগল খাইয়া এলাকা থেকে তিন কৃষককে অপহরণ করেছিল। দীর্ঘ ৯দিন পর মুক্তিপনের বিনিময়ে তারা উদ্ধার হয়েছিল। এছাড়া বিগত দিনে বাঁকখালী, দোছড়ি, ছাগল খাইয়া এলাকা থেকে কমপক্ষে ২০জনের অধিক লোকজনকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছিল। সকলেই মুক্তিপনের বিনিময়ে উদ্ধার হয়েছে বলে অপহৃতরা জানান।

এ বিষয়ে দোছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, তামাক চাষী ৪জনকে খামার বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যাবার সংবাদ শুনেছি। ওরা সবাই তামাক চাষ করতে লংগদুর মুখ এলাকায় এসেছিল।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আলমগীর জানান, তামাক চাষী ৪জনকে অপহরণের খবর পেয়েছি। তাদেরকে উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন