দূর্গম এলাকায় শিক্ষার পরিবেশ গড়তে কাজ করছে সেনাবাহিনী: লংগদু জোন কমান্ডার

img_20161127_133840-777777777777777-copy

লংগদু প্রতিনিধি:

লংগদু জোন জোনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা সম্পর্কিত সমন্বয় সভায়’ সভাপতির বক্তব্যে জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আব্দুল আলীম চৌধুরী (পিএসসি) বলেছেন, উপজেলার দূর্গম এলাকায় শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে জোনের পক্ষ হতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে দুটি উচ্চ বিদ্যালয়, ২টি কিন্ডার গার্টেন স্কুল করেছি। কালাপাকুজ্জায় ও মাইনীতে আরো দুটি স্কুল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গরীব শিক্ষিতি মেধাবী যুবক যুবতীরা যাতে দক্ষ প্রশিক্ষণ পেয়ে উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত হতে পারে তার জন্য জোনের পক্ষ হতে বেইস করে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য সেবা দিতে পল্লি চিকিৎসার প্রশিক্ষণ চালু করা হয়েছে।

তাছাড়া গরীব দুস্থ্য মহিলাদের বাড়তি আয়ের জন্য হাসঁ বিতরণ ও দুরছড়ি বাজারে ক্ষতিগ্রস্থ স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদেরসহ বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রদের মাঝে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, দীঘিনালা বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী যত্ন মনি চাকমা।

এছাড়া গুলশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু নাছির, লংগদু প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ এখলাস মিঞা খান, খেদারমারা ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার চাকমা, লংগদু জাতীয় ইমাম সমিতির সেক্রেটারী হাফেজ আব্দুল মতিনসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।

এ সময় লংগদু স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডা. বিশ্বজিৎ মহাজন, সেনা জোনের আরএমও ক্যাপ্টেন রবেল আজাদ, লেপ্টেন্যান্ট হামিদুল হক সহ বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, গণ্যমান্যব্যাক্তি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ এতে উপস্থিত ছিলেন।

জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আব্দুল আলীম চৌধুরী বক্তব্যে আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামের অনগ্রসর এবং সুবিধা বঞ্চিত সহ সর্বস্থরের জনসাধারণের নিরাপত্তা ও সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় থাকলে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজরা যাতে সমাজে স্থান না পায় তার জন্য সকলকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সন্ত্রাসকারী ও চাঁদাবাজরা দেশ ও সমাজের শত্রু। এদের কারণে উন্নয়নে বাঁধাগ্রস্থ হয়। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এব্যাপারে সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর যেবাবে নির্যাতন করা হচ্ছে তা অত্যান্ত নিন্দনীয়। কিন্তু এই ইস্যু নিয়ে আমাদের অত্র এলাকায় যেন কোন প্রকার ঘটনা না ঘটে। তিনি তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন