parbattanews

দুরারোগ্য ক্যান্সারে স্বপ্নভঙ্গ: স্কুলশিক্ষিকা শিউলি বাঁচতে চায়

আলীকদম প্রতিনিধি:

২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত সায়রা রহমান শিউলি চট্টগ্রাম মেরনসান স্কুল এন্ড কলেজের একজন শিক্ষক।ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী ও দুই সন্তানের জননী শিউলী। পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।

সারাক্ষণ ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে প্রাঞ্জল, হাসিখুশি আর কোলাহলে কাটিয়ে দিতেন তিনি। বিষন্নতাকে পাশ কাটিয়ে চলাটাই ছিল তার স্বভাবের উল্লেখযোগ্য দিক। তিনি একজন সঙ্গীত শিল্পীও। তার এ হাসি খুশিভরা দিনগুলোকে অন্ধকার করে দিতে তার দেহে বাসা বেঁধেছে মরণ ব্যাধি ক্যান্সার। শিউলি বাঁচতে চায় তার দু-সন্তানের জন্য, তাদের অনাগত ভবিষ্যতের স্বপ্নবুনন করতে।

২০১৩ সালের অক্টোবরে তার দেহে ধরা পড়ে ব্রেষ্ট ক্যান্সার। নভেম্বরে চট্টগ্রাম সিএসসিআরএ সফল অস্ত্রপাচারের পর আত্মীয় স্বজনরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও স্থায়ী হয়নি এ স্বস্তি। হাড়ের ব্যাথায় যখন অস্থির শিউলি ঠিক তখনই লাখ টাকা ব্যয়ে পরীক্ষায় ধরা পড়ে তার পাঁজরের হাঁড়ে ক্যান্সার। এরপর তাকে মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে কেমো থেরাপি ও রেডিও থেরাপি দেওয়া হয়।

কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়েল হাসপাতালে। সেখানে দু’মাসে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয় শিউলির চিকিৎসায়। তাতেও কিছু না হওয়ায় হতাশ হয়ে দেশে নিয়ে আসতে হয় তাকে।

পুনরায় মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়েল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার সারা শরীরে পাওয়া যায় ক্যান্সারের অস্তিত্ব। এরমধ্যে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সন্ধান পেয়ে তারা আবারও আশায় বুক বাঁধে শিউলীর স্বজনরা। চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে প্রায় দশ লক্ষ টাকা মূল্যে দেওয়া হয় ছয়টি ইঞ্জেকশন।

কিছুদিন পর পুনরায় পরীক্ষা করা হয়। ফলাফল দেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মুখে আশার বাণী শোনা গেছে। শিউলির দেহে ক্যান্সারের মাত্র অনেক কমে গেছে। এভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও অর্থ সংকটের কারণে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া ভাইদের জন্য এখন দুরূহ হয়ে পড়েছে। আরও প্রায় বিশ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।

তার চিকিৎসার জন্য চাই হদয়বান মানুষদের সহায়তা। তাহার সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ০১২৮৪৯, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, চকবাজার শাখা, চট্টগ্রাম। বিকাশ নম্বর- ০১৭৭২৫৭৭২৮৬।

Exit mobile version