Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

তিন বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে পার্বত্য ভূমি কমিশনের চেয়ার‌ম্যান নিযুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে দ্বিতীয় মেয়াদে আরো তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল-হক। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চুক্তি ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ ১১ ডিসেম্বর (সোমবার) স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।

এর আগে ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল-হক-কে তিন বছরের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তার ওই মেয়াদে পাহাড়ে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ৪৫দিনের মধ্যে আবেদন চেয়ে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে প্রায় ১৫ হাজার আবেদনপত্র পড়ে। বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল-হক পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের সপ্তম চেয়ারম্যান।

২০১৬ সালের ১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ভেটিং সাপেক্ষে ‘পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগতভাবে অনুমোদন ও ৯ আগস্ট তা অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশের পর গত ৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদে পাশ হয়। বাঙালি সংগঠনগুলো আইন সংশোধনের পর থেকে আইনটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামে।

উল্লেখ, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে গঠিত পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন-২০০১। একজন অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, তিন সার্কেল চিফ, আঞ্চলিক পরিষদ চেয়াম্যানের প্রতিনিধি ও বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি নিয়ে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন। পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে এর আগে আরো ৬জন চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। তার মধ্যে দুই চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের আগেই মৃত্যুবরণ করেন এবং অপর দু’জন চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিলেও কোন কার্যক্রমে অংশ নেয়নি।

২০০৯ সালের ১৬ জুলাই কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীকে তিন বছরের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন একই বছরের ২০ জুলাই। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর অচল পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন সচল হলেও নানা অভিযোগ তুলে কমিশন চেয়ারম্যান বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে পাহাড়ি সংগঠনগুলো।

পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দিকে পার্বত্য জেলায় ভূমি জরিপের জন্য উদ্যোগ নিলে সন্তু লারমাসহ কমিটির সদস্য ও পাহাড়ি সংগঠনগুলোর আপত্তির মুখে পিছু হটেন।

পরবর্তীতে তিনি বিরোধ নিস্পত্তির জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে আবারও আপত্তির মুখে পড়েন। কিন্তু চেয়ারম্যান তার অবস্থানে অনঢ় থাকলেও কমিশনের আইন সংশোধন ও পাহাড়িদের প্রথাগত ভূমি অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে কমিটির অন্যতম সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির(জেএসএস) একাংশের প্রধান ও আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমা কমিশনের বৈঠক বর্জন শুরু করে।

এরপর থেকে অপরাপর পাহাড়ি সদস্যরাও ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের বৈঠক বর্জন ও পাহাড়ি সংগঠনগুলো একই দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে কমিশন অকার্যকর হয়ে পড়ে। তবে কমিশন চেয়ারম্যান বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী আইনের বিশেষ বিধান বলে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত শুনানী অব্যাহত রাখে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন