parbattanews

তিন পার্বত্য জেলার মৌজা হেডম্যানদেরকে বদলি ও চাকরি স্থায়ীকরণে প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

তিন পার্বত্য জেলায় মৌজার হেডম্যানদেরকে বদলি ও চাকরি স্থায়ী করণের প্রতিবাদে বান্দরবানে বোমাং সার্কেল প্রধান ও হেডম্যান মত বিনিময় সভা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বোমাং সার্কেলের বাস ভবনে সভায় সরকারে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সার্কেল প্রধান ও মৌজার হেডম্যানরা।

সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসক সস্মেলন ২০১৭’র সিদ্ধান্ত মোতাবেক হেডম্যান নিয়োগ স্থায়ী ও রাজস্বভূক্ত করে বদলি ও পদায়নের ব্যবস্থার সিধান্ত নেয়া হয়। সে আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রধান কার্যালয় রাঙ্গামাটি ২১/৫/২০১৮ স্মারক নং ২৯.২৩২.০০০.০৪.০১.০৬৯.১৯৯৯-৫৩৫ নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা চাকমা স্বাক্ষরিত পত্রে বলেছেন উপযুক্ত বিষয়ে ও সূত্রোক্ত স্মারক পত্রের আলোকে জানানো যাচ্ছে যে, জেলা প্রশাসক সস্মেলন ২০১৭ এর হেডম্যান নিয়োগ স্থায়ী ও রাজস্বভূক্ত করে বদলি ও পদায়নের ব্যবস্থা করতে হবে মর্মে সিধান্ত বাস্তবায়ণ বিষয়ে যথাশীঘ্রই সম্ভব আপনার সুচিন্তি মতামত পত্র কার্যালয়ে প্রেরণ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সভায় বোমাং সার্কেল প্রধান উচপ্রু চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৯০০ শাসন বিধি ১নং (১৯০০ সালের ১নং রেগুলেশন) বোমাং রাজাসহ প্রথাগত আইন বিধি না মেনেই সরকার প্রথাগত রাজা ও মৌজার প্রধানদের বদলী, চাকরি স্থায়ীকরণ করা রাজস্ব খাতে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

তিনি জানান, অন্য দুই রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির সার্কেল প্রধানদের সাথে আলাপ করে আইনি পদক্ষেপ ও পত্র জবাব দেওয়ার কথা বলেছেন মি. উচ প্রু চৌধুরী।

পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহানারা ইয়াসমিন লিলি স্বাক্ষরিত স্বারক নং ২৯.০০০.০০০০. ২২৪.২৭.০০১.১৭.২০ ১৭মে ২০১৮ পত্রে বলেছেন জেলা প্রশাসক সস্মেলন ২০১৭ থেকে গ্রহীত সিধান্তের বিষয়ে গত ২৫/৪/২০১৭ তারিখের মতামতের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছিল কিন্তু অদ্যাবদি কোন মতামত পাওয়া যায়নি বলে পত্রে জানিয়েছেন।

বোমাং সার্কেল প্রধান উচপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় রোয়াংছড়ি হেডম্যান হ্লাথোয়াইহ্রী, সাচ প্রু আালীকদম মংক্যন, হেডম্যান এসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিংমং প্রুসহ একাধিক হেডম্যান সরকারের এসব উদ্যোগ বাতিল করে ১৯০০ শাসন (সালের ১ নং রেগুলেশন) বিধি বহাল রাখার জন্য সরকার ও সার্কেল প্রধানদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।  সভায় ১০৯টি মৌজার হেডম্যানদের মধ্যে ৮৮জন মৌজার প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

তবে তিন পার্বত্য জেলার সার্কেল প্রধানদের বিষয়ের বদলী ও চাকরি স্থায়ীকরণ ও পদায়ণ কোন কথা উল্লেখ করেনি পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের।

Exit mobile version