তালা ভেঙে চকরিয়া ক্লিনিকের পরিদর্শিকার কক্ষে ঢুকে দাপ্তরিক কাগজপত্র তছনছের অভিযোগ

অভিযোগ

চকরিয়া প্রতিনিধি:

অবসরপ্রাপ্ত পরিদর্শিকার নেতৃত্বে চকরিয়ায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সদর ক্লিনিকের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার কক্ষে ঢুকে আলমারীর তালা ভেঙে দাপ্তরিক কাগজপত্র তছনছ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ক্লিনিকের বর্তমান পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা দিলরুবা বেগম রুবীর অনুপস্থিতিতে ওই ক্লিনিক থেকে একই পদের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত শাহানা বেগম এই কাণ্ড ঘটান বলে বর্তমান পরিদর্শিকা অভিযোগ করেছেন। তবে এ সময় সাবেক পরিদর্শিকা ক্লিনিকের পিয়ন নির্মল বড়ুয়াকে কক্ষের তালা খুলে দিতে বাধ্য করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এই ক্লিনিকের পরিদর্শিকা শাহানা বেগম ওই কক্ষে ঢুকে দাপ্তরিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সরিয়ে নেন। এ কারণে তিনি বর্তমান পরিদর্শিকার অনুপস্থিতিতে পিয়ন নির্মল বড়ুয়াকে বাধ্য করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

এ বিষয়ে বর্তমান পরিদর্শিকা দিলরুবা বেগম রুবী অভিযোগ করে বলেন, ‘সদ্য অবসরপ্রাপ্ত পরিদর্শিকা শাহানা বেগমের কোন কাগজপত্র যদি আমার কক্ষে রক্ষিত থাকে তাহলে আমাকে বলে নিতে পারতো। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তিনি আমার অনুপস্থিতিতে পিয়নকে বাধ্য করে যে কাণ্ড করেছেন তা অপরাধ করেছেন। এ বিষয়ে আমি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার আগে কোন কোন কাগজপত্র খোয়া গেছে তার বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান কান্তি রুদ্র বলেন, ‘সদর ক্লিনিকের পরিদর্শিকার কক্ষে কি ঘটেছে না ঘটেছে তা আমি কিছ্ইু জানি না। কারণ ওই সময় আমি জেলা পরিষদের একটি সভায় উপস্থিত ছিলাম। তবে সাবেক পরিদর্শিকা কিভাবে বর্তমান পরিদর্শিকার কক্ষে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করবে তা আমার বুঝে আসে না। এ ধরণের কর্মকা- অবসরে যাওয়া কোন পরিদর্শিকা করতে পারে না, করলেও তা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

তবে বিষয়টি অন্যরকম বলে দাবি করেছেন অবসরপ্রাপ্ত পরিদর্শিকা শাহানা বেগম। তিনি প্রথমে কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করলেও পরক্ষণে বলেন, বিগত ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের ইনপ্লান্টের ফরম নিতে গিয়েছিলাম আমি। এ সময় বর্তমান পরিদর্শিকা রুবীও উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া তিনি যে (বর্তমান পরিদর্শিকা) এ বিষয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেবেন তা আমার জানা ছিল না।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন