টইটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদসহ ৬জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৬জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন পেকুয়া উপজেলায় কর্মরত এক সংবাদকর্মী।

মঙ্গলবার (২০মার্চ) চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা (নং-২৭১) দায়ের করেন মোহাম্মদ ফারুক নামের এক সংবাদকর্মী। মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডি কক্সবাজারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট জামাল হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অপর আসামীরা হলেন, টইটং ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নুরুচ্ছবি, গ্রাম পুলিশ সদস্য আজিজুর রহমান, কামাল হোসেন, রেজাউল করিম ও পেন্ডার পাড়া এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে নুর আহমদ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গ্রাম পুলিশের মারধরে বৃদ্ধার মৃত্যু শীর্ষক সংবাদ পরিবেশনের জের ধরে সংবাদকর্মী মোহাম্মদ ফারুককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। গত ১৯মার্চ দুপুরে পেকুয়া চৌমুহনীর একটি হোটেলে সংবাদকর্মী মোহাম্মদ ফারুককে এ হুমকি দেন টইটং ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নুরুচ্ছবি।

সংবাদকর্মী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, গত ৩মার্চ রাতে ইউনিয়নের পেন্ডার পাড়া এলাকায় এক বৃদ্ধা মহিলাকে মারধর করে হত্যার সংবাদে সহকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এসময় নিহত পরিবারের সদস্যরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের জবানবন্দি দেন। যা উপস্থিত সংবাদকর্মীরা রেকর্ড করেন। এতে তারা স্পষ্ট ঘোষণা করেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদের নির্দেশে গ্রামপুলিশ সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। কিন্তু নিহতের পরিবার খুনীদের সাথে আতাত করে মৃত্যুর বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ না করে লাশ দাফন করে ফেলেন। নিহতের পরিবারের বক্তব্য সহকারে প্রকাশিত সংবাদ তখন সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়ায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদ তার পরিষদের দফাদারকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করান।

তিনি আরও বলেন, সত্য প্রকাশের দরুণ আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। আমি আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। তাই হত্যার মত ঘৃণ্য একটি ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা রুখতে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

পেকুয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা বলেন, সাংবাদিকদের কলম রুখতে অপচেষ্টা চালিয়ে কেউ সফল হতে পারবেনা। কারণ সত্যই আমাদের শক্তি।

তারা আরও বলেন, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে নির্যাতনের অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। টইটং ইউনিয়নে তার নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ।

এ ব্যাপারে টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বৃদ্ধার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সংবাদকর্মী ফারুক গ্রামপুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। এ ঘটানায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এ মৃত্যুতে ভিকটিমের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকলেও একজন সংবাদকর্মী কেন এত উৎসাহী, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হবার নয়। তবে প্রবাদ আছে মায়ের চেয়ে মাশির দরত বেশি কেন? বুঝি নাই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন