জেলায় আমন মৌসুমে অধিক ফলন উৎপাদনে মুক্তা বীজ কৃষকদের ব্যাপক সাড়া

উখিয়া প্রতিনিধি:

চলতি আমন মৌসুমে জেলায় কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ ধানের চাহিদা পূরণ করছে বে-সরকারি পর্যায়ের বীজ উন্নয়ন প্রকল্পের বেশ কয়েকটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে বাম্পার ফলন উৎপাদন হওয়ায় চাষীদের কাছে মুক্তা বীজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কার্পোরেশন (বিএ,ডি,সি) এর জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারে বে-সরকারি পর্যায়ের ৪টি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠান গুলো হচ্ছে মুক্তা বীজ উৎপাদন খামার (রামু) পতিকৃতি এগ্রো ফার্ম লি. (সদর) জননী এন্টারপ্রাইজ (চকরিয়া) ও এডভান্স মাল্টি ফার্ম (চকরিয়া)।

জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার আব্দুল জলিল মণ্ডল দৈনিক কক্সবাজার বলেন, সরকারের পাশাপাশি আমরা বে-সরকারি ভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে বীজ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত এবং বাজার জাত করণে পরামর্শ দিয়ে থাকি। এমনকি চাষীদেরকে বীজ উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, জেলায় ৪টি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান বীজ উৎপাদন করে বাজার জাত করায় জেলায় আমন মৌসুমে বীজ সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। তিনি অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বীজ উৎপাদন ও প্রক্রিয়া জাত করণ করেছেন তার মধ্যে মুক্তা বীজ ভাণ্ডার (রামু) ৩০ হাজার কেজি ভিত্তি ও ১০ হাজার কেজি প্রত্যায়িত, এডভান্স মাল্টি ফার্ম লি. (চকরিয়া)। সরকারি হিসাব মতে ওই প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯শত ৫৫ কেজি ভিত্তি ও ৩০ হাজার ৬শ কেজি প্রত্যায়িত বীজ, প্রতিকৃত এগ্রো ফার্ম লি. ভিত্তি ১৫ হাজার ৫শ কেজি প্রত্যায়িত ৪ হাজার ২শ ৫০ কেজি, জননী বীজ ভাণ্ডার ১৬শ কেজি প্রত্যায়িত বীজ বাজার জাত করে আসছে আমন মৌসুমে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএ,ডি,সি) সিনিয়র সহকারী পরিচালক সুমন চাকমা জানান, বে-সরকারি ভাবে জেলায় বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বীজ ধান গুলো গুনগত মান নির্ণয়, আদ্রতার মান বজায় ও অঙ্কুর উৎগম ইত্যাদি বিষয়গুলো যাচাই বাচাই করে উৎপাদিত বীজ বাজার জাত করণে সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে।

মুক্তা বীজ উৎপাদন খামারের মালিক মো. ইসমাঈল জানান, ২০০৭ সালে চাষী পর্যায়ে বীজ উৎপাদন শুরু করি। মূলত বিএডিসির পরামর্শ ও উদ্বুদ্ধ হয়ে বীজ উৎপাদনের সফলতা পেয়েছি। ২০০৮ সালে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় পুরুস্কার পান তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, চলতি আমন মৌসুমে মুক্তা বীজ উৎপাদন খামারের অধীনে ৪০ হাজার কেজি উন্নত জাতের বীজ উৎপাদন করা হয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহ করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে ব্রি-ধান ১১, ২২, ৩৩, ৩৯, ৪৬, ৪৯ ও ৫২ নং উন্নত জাতের বীজ ধানের পাশা-পাশি পাইজাম ও হরিধানের বীজ ধান কৃষকদের মাঝে চাহিদা রয়েছে। পশ্চিম রত্না গ্রামের চাষী সাইফুল ইসলাম বলেন, গেল আমন মৌসুমে মুক্তা বীজ ধান ব্যবহার করে চাষ করায় বাম্পার ফলন হয়েছে।

কোটবাজার ভালুকিয়া সড়কের ব্যবসায়ী ইদ্রিস জানান, বর্তমানে কৃষকরা বীজ ধান ক্রয়ে দোকানে ভীড় জমাচ্ছে। চার দিকে বীজ তলা তৈরি শেষ হওয়ায় এখন বীজ ধান বপন করবে কৃষকরা। তবে সরকারের পাশা-পাশি বে-সরকারি ভাবে উৎপাদিত উন্নত জাতের মুক্তা বীজের চাহিদা চাষীদের নিকট আগ্রহ বেশি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন