Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

জুম্মজনগণের অস্তিত্ব বিলুপ্তির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সরকারের একটি মহল: সন্তু লারমা

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

পার্বত্যাঞ্চলে জুম্মজনগণের অস্তিত্ব বিলুপ্তির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সরকারের একটি মহল। তারা চায়না পার্বত্য চুক্তি পূর্ণবাস্তবায়ন হোক।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি শিল্পকলা একাডেমি মিলানায়তনে মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার ৩৪তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়েজিত স্মরণ সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি সূর্বণ চাকমার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, আদিবাসী ফোরামের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কল্পনা চাকমা, জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী রঞ্জিত দেওয়ান, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরুণ ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুমন মারমা প্রমুখ।

সভায় সন্তু লারমা বলেন, সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন চায় না। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত করতে চায়। সেজন্য আজ জুম্ম জনগণের জীবন এক নিরাপত্তাহীন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় বিরাজ করছে। পার্বত্য চুক্তির পর ২০ বছর অতিক্রান্ত হলেও চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আজ একটি মহা শ্মশানে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের জুম্ম জনগণ তথা এই এলাকার পাহাড়ি-বাঙালি অধিবাসীরা আমরা সেনা শাসনে রয়েছি। সেনা শাসন, গোয়েন্দা বাহিনী, এখানকার আমলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দলের সেটেলারদের মিলিতভাবে যে দমন-পীড়ন, নির্যাতন, শোষণ, বঞ্চনা আজকে সীমাহীন পর্যায়ে চলে গেছে। আজকে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে আমাদের নিরাপত্তাহীন, অনিশ্চিত জীবন নিয়ে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। এ জীবন আমরা মেনে নিতে চাই না এবং আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত নই।

এর আগে সকাল ৮টায় এমএন লারমার ৩৪তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে প্রভাতফেরি শুরু হয়। ব্যানার ফেস্টুন সহকারে দুই লাইনে সারিবদ্ধ হয়ে সুশৃঙ্খলভাবে বনরূপা প্রদক্ষিণ করে প্রভাতফেরিটি শিল্পকলা একাডেমিতে এসে এম এন লারমার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন দলের নেতাকর্মীরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন