Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

চীন রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিকীকরণের বিরোধী

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিকীকরণ না করার অনুরোধ করেছে চীন। তাদের মতে, ইস্যুটি এখনো মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারে। দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগ ব্যর্থ হলে আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে চীন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূত সান গোসিয়াং আজ বুধবার পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের সাথে বৈঠকে এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

তার মতে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার আগের চেয়ে নমনীয় অবস্থানে রয়েছে।

অন্য দিকে বাংলাদেশ বলেছে, মিয়ানমারের সাথে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার সব উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পরই সরকার ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নির্মূল অভিযানের কারণে প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এ কারণেই ইস্যুটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিলেই কেবল এই সঙ্কটের অবসান হবে।

বৈঠকে বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে চীনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানায়। এর প্রেক্ষাপটে চীনের দূত বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদে চীন কারো পক্ষে ভূমিকা রাখছে না। চীন শুধু ইস্যুটিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মিয়ানমার ইস্যুতে চীনের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। গত এপ্রিলে চীনের এই বিশেষ দূত রোহিঙ্গা ইস্যুটি মিয়ানমারের সাথে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। পররাষ্ট্র সচিবের সাথে বুধবারের বৈঠকেও তারা একই অনুরোধ জানিয়েছে। মাঝে ছয় মাসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা চার লাখ থেকে বেড়ে দশ লাখে উন্নীত হয়েছে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, চীনের বিশেষ দূত মিয়ানমার থেকে আসলেন। আমরা বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেছি। আমি বলেছি, ছয় মাস আগে আপনি যখন ঢাকা এসেছিলেন তখন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা চার লাখ ছিল। আর এখন দশ লাখ হয়েছে। এটাই বাস্তবতা। জবাবে মিয়ানমার দূত বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতি আগের চেয়ে জোরালো হয়েছে।

শহীদুল হক বলেন, মিয়ানমারের অবস্থান পরিবর্তনের কিছু ইতিবাচক দিক আমরা লক্ষ্য করছি। চীনের সেটা দেখছে। কিন্তু প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মিয়ানমার কালক্ষেপণ করছে। এটা আমাদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ দূত মিয়ানমার ফিরে গিয়ে বাংলাদেশের বার্তা পৌঁছে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিয়ানমারের সাথে আমাদের অন্য কোনো সমস্যা নেই। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে- এটাই আমাদের একমাত্র এজেন্ডা। কেননা এতো বিপুল সংখ্যক মানুষ বাংলাদেশের ওপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। মানবিক কারণে সরকার তাদের সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে চীনের অবস্থান কি চাইলে শহীদুল হক বলেন, চীন বলেছে মিয়ানমার তাদের বন্ধু। বাংলাদেশও তাদের বন্ধু। দুই বন্ধুর সাথে কাজ করে তারা এই সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। তবে তারা মধ্যস্থতা করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি।

নিরাপত্তা পরিষদে চীনের সমর্থন চাওয়া হয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র্র সচিব বলেন, যেসব জায়গায় প্রয়োজন সেসব জায়গাতেই তাদের সমর্থন চাওয়া হয়েছে। তবে চীন চায় ইস্যুটি দ্বিপাক্ষীকভাবে সমাধান হোক। পরিস্থিতি নিয়ে চীনের উদ্বেগ শান্তিপূর্ণ সমাধানে তাদের আগ্রহ থেকে বোঝা যাচ্ছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানে বাংলাদেশ আশাবাদী বলে জানান শহীদুল হক।

 

সূত্র: কিউএনবি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন