চাঁদার জন্য ইউপিডিএফ আরএফএল‘র গাড়িতে গুলি চালায়, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবি

jjjjjjjjjjjjjjjjjjjjjjjjjjjjj
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি :
চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীরা শনিবার বাঘাইছড়িতে আরএফএল কোম্পানির মালবাহী ট্রাকে গুলি চালিয়েছে বলে দাবি করেছে আরএফএল কর্তৃপক্ষ। এর আগেও একাধিকবার ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা আরএফএলের গাড়ি ও কর্মীদের উপর হামলা চালায়; এর পরিপ্রেক্ষিতে আরএফএল কর্তৃপক্ষ দুটি মামলাও দায়ের করে। গত শনিবারের ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসী ও আগের মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে আরএফএল। একই সাথে পাহাড়ি পথে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে জান মালের নিরাপত্তার স্বার্থে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প বসানোর দাবিও জানানো হয়।

রোববার ৫ ফেব্রুয়ারি আরএফএল কোম্পানির পক্ষে আরএফএল এর তিন পার্বত্য অঞ্চল এর ব্যবসা ও বিপনন উন্নয়ন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন মাহিন এর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার উগ্রবাদী ,অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ কর্তৃক প্রান-আরএফএল গ্রুপের পণ্যবাহী গাড়ীতে ব্রাশ-ফায়ার করে। আনুমানিক বিকাল ৫.৫০ ঘটিকায় মারিশ্যা হতে খাগড়াছড়ি ফেরার সময় মারিশ্যা থানাধীন ৯ কিলোমিটার নামক স্থানে আরএফএল এর গাড়ী বহরের দুটি গাড়িতে চাদাঁ আদায়ের জন্য অতর্কিত এই হামলা চালায়। হামলাকারীরা স্থানীয় চাকমা, তারা কাঠুরিয়ার বেশে ছিল। শনিবার সকালে পণ্য নিয়ে মারিশ্যা যাওয়ার পথে নয় কিলোতে রাস্তার দুই পাশে দোকানে অবস্থানকারী ৬/৭ জন চাকমা উপজাতি জোরপূর্বক গাড়ী থামায় এবং বলে তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ অমান্য করে এই রাস্তায় গাড়ী চালানো যাবে না। তাদের বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে গাড়ীবহর মারিশ্যায় গিয়ে ফিরে আসার সময় ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ীতে গুলি চালায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত বছরের মে-জুন মাস হতে মোটা অঙ্কের চাদাঁ আদায়ের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল ইউপিডিএফ। যার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানীর তরফ হতে এত বেশি পরিমাণ চাদাঁ দিতে অস্বীকৃতি জানালে, ইউপিএফের কেন্দ্রীয় নেতারা এই অঞ্চলের ব্যবসা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ও পণ্য পরিবহনকারী গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, মালামাল ছিনতাইসহ লোকজনকে মারধর করে আসছিল। বেগতিক হয়ে আরএফএল কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খাগড়াছড়ি’র পানছড়ি, মহালছড়ি, দিঘীনালা ও রাঙামাটি জেলার মারিশ্যা-লংগদু সড়কে মালামাল পরিবহন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিকার চেয়ে ৭ ডিসেম্বর’২০১৬ জেলা প্রশাসক খাগড়াছড়ি বরাবর একটি দরখাস্ত দেয়া হয়। তার পরপর ১১ ডিসেম্বর মালবাহী গাড়ী আটক করে চাদাঁ আদায়ের ঘটনায় দিঘিনালা থানায় একটি মামলা হয়, এর পর আবার গত ১৫ ও ২১ ডিসেম্বর পণ্যবাহী গাড়ীতে ভাংচুর করে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা, এই ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি মামলা হয়।

প্রশাসনের আশ্বাসে পণ্য পরিবহন করা শুরু করলে আবারো এই হামলার ঘটনা ঘটে।

বিবৃতিতে একটি দেশের স্বাধীন ভূ-খন্ডে এমন একটি ন্যাক্কারজনক উগ্রবাদী সস্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান প্রান-আরএফএল গ্রুপ কর্তৃপক্ষ। একই সাথে পাহাড়ী সকল পথে জনগণের জানমালের হেফাজত করতে প্রশাসনের তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে নিয়মিত আইন শৃংখলা বাহিনীর টহল জোরদার ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ক্যাম্প স্থাপনের জোর দাবী জানানো হয় এবং হামলাকারী উপজাতীয় সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে করা পূর্বের মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার ও গত শনিবার ৪ ফেব্রুয়ারি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন