parbattanews

চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার:

স্কুল শিক্ষিকাকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর মামলায় চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে আদালত।

বুধবার (৮ আগস্ট) বিকালে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কোর্ট পিটিশন নং-১৭৮/১৭ শুনানী শেষে এ রায় দেন আদালতের বিচারক এএইচএম মাহমুদুর রহমান।

সেই সাথে অপর দুই আসামি জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা জাফর এবং পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পালাকাটার বাসিন্দা মৃত আহমদ শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী মালেকা বেগমের বিরুদ্ধে ১২৩ ধারার অপরাধ আমলে নিয়ে সমন দিয়েছে আদালত। মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট আব্দুর রহমান।

জানাযায়, ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে কোর্ট পিটিশন নং-১৭৮/১৭ মামলাটি করেন মালুমঘাট রিংভং দক্ষিণ পাহাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হুমায়রা আজাদী (৪০)। বাদিনী ওই এলাকার আলী আহমদের স্ত্রী।

একই বছরের ৩০ মার্চ মামলাটি তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন জেলা প্রশাসক (তৎকালীন) মো. আলী হোসেন।

প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট ও নিরপেক্ষ হয়নি জানিয়ে ২২ মে আদালতে নারাজি (অসম্মতি) দেন বাদিনী হুমায়রা আজাদী। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ১৪ মাস পর ৮ আগস্ট ওই নারাজি শুনানী করেন আদালতের বিচারক।

বাদিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান জানান, ২০১৭ সালের ২৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে স্কুলে দায়িত্ব পালনকালে শ্রেণীকক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে প্রধান শিক্ষিকা হুমায়রা আজাদীকে ব্যাপক মারধর ও শ্লিলতাহানী করে। যা সাধারণ ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা প্রত্যক্ষ করেছে। এ ঘটনায় ভিকটিম শিক্ষিকা আদালতের আশ্রয় নেন।

আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তৎকালীন জেলা প্রশাসককে তদন্তভার দিলে তিনি প্রভাবমুক্ত থেকে প্রবিবেদন দেননি। অধিকন্তু ঘটনার বিপরীত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে বাদিনীর নারাজি যৌক্তিক হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক তা আমলে নিয়ে প্রধান আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ও বাকী দুই আসামীর বিরুদ্ধে সমন দেন বলে জানান।

Exit mobile version