Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

চকরিয়ায় চলতি মৌসুমে ৪৮ হাজার একর জমিতে আমন চাষাবাদ

চকরিয়া প্রতিনিধি:

চলতি মৌসুমে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ৪৮ হাজার ৭০ একর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে উপজেলা ও পৌরসভা এলাকার এসব জমিতে চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। আড়াই মাসে ৪৪ হাজার ৮শত একর জমিতে চাষ শেষ হয়েছে।প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুল থাকায় চলতি বছরও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে আরো বিপুল পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে চলতি মাসের মধ্যে অবশিষ্ট জমিতে চাষাবাদ নিশ্চিত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা (উন্নয়ন শাখা) সনজিব বড়ুয়া বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার একটি এলাকায় ৪৮ হাজার ৭০ একর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। এবছর ৪৫হাজার একর জমিতে উপশী জাত, ৩ হাজার একর জমিতে হাইব্রিট ও ১২৫০ একর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান চাষাবাদ করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো.মহিউদ্দিন বলেন, ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে চাষের শুরুতেই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক কৃষকেরা গুটি ইউরিয়া ও এলসিসি পদ্ধতি অনুসরণ করে আমন চাষাবাদ শুরু করেছেন।এ পদ্ধতিতে চাষ করলে কৃষকেরা ভাল ফলন ঘরে তুলতে পারবে বলে জানান।

উপজেলা বর্গাচাষী সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন পুতুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরও কৃষকেরা প্রবহমান মাতামুহুরী নদী থেকে মিঠা পানির সেচ সুবিধা নিয়ে জমিতে আমন মৌসুমের চাষাবাদ শুরু করেছেন।মাতামুহুরী নদীর উপর নির্মিত দুটি রাবার ড্যামের কারণে সঠিক সময়ে পানির সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কৃষকেরা।নদীতে মিঠা পানি মজুদ থাকায় এতদ্বঞ্চলের সেচ সুবিধা কৃষকের নিশ্চিত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লা ‘র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলতি বছরে বর্ষা মৌসুমে কয়েকদফা ভয়াবহ বন্যার কারণে বেশির ভাগ জমিতে এবছর পলি জমে ভরাট হয়। ফলে জমির উর্বরতা শক্তি বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা মৌসুমের পূর্বে থেকেই আমন চাষ শুরু করেছেন।ইতিমধ্যে উপজেলার কোনাখালী, বিএমচর, ঢেমুশিয়া, বদরখালী, পশ্চিম বড় ভেওলা, পূর্ব বড় ভেওলা, কৈয়ারবিল, লক্ষ্যারচর, বরইতলী, হারবাং, কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমুবিলছড়ি, ফাঁসিয়াখালী, চিরিংগা, ডুলাহাজারা, খুটাখালী ও পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের বেশির ভাগ এলাকায় জমির চাষাবাদ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।এ পর্যন্ত উপজেলার ৪৪হাজার ৮শত একর জমির চাষ শেষ হয়েছে।আশাকরি চলতি মাসের মধ্যেই অবশিষ্ট জমির চাষ শেষ হওয়া সম্ভব বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন