parbattanews

ঘুরে আসুন সবুজের সীমানায় বান্দরবানের স্বর্ণমন্দির

বান্দরবান প্রতিনিধি:

খুব বেশি দূরের পথ নয়। যা একটু ইচ্ছে আর ইচ্ছের তীব্রতা। যেতে যেতে একেবারে দক্ষিণে। বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলের সীমানায় স্বর্ণমন্দির। স্বর্ণজাদির আসল নাম বুদ্ধধাতু চেতী। সোনালী রং এর সুন্দর কারু কাজে তৈরি এ মুন্দির দর্শনেই যেন মন ভাল হয়ে যায়।

বান্দরবন শহর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে বালাঘাটাস্থ পুরপাড়া নামক স্থানে সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় এ জাদিটি অবস্থিত যা বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এক তীর্থস্থান। সম্পূর্ন সোনালী আর মেরুন রং এ সজ্জিত এই মন্দিরটি দেখতে মনে হবে যেন স্বর্ণ দিয়ে মোড়ানো। কিন্তু এটা আসলে স্বর্ণ দিয়ে নির্মিত মন্দির নয়। মন্দিরটি দেখতে সোনালী রঙের হওয়ায় সবাই একে স্বর্ণমন্দির নামে আখ্যায়িত করে।

স্বর্ণমন্দিরের বাহ্যিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এর অবকাঠামোগত সৌন্দর্যও দেখার মত। মন্দিরের বাইরের অংশে ভিন্ন ভিন্ন প্রকোষ্ঠে তিব্বত, চীন, নেপাল, ভিয়েতনাম , কম্বোডিয়া , ভূটান, মিয়ানমার কোরিয়া , জাপান ইত্যাদি দেশের শৈলীতে সৃষ্ট ১২টি দণ্ডায়মান বুদ্ধ আবক্ষ মূর্তি এখানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আর মন্দিরের অভ্যন্তরে কাঠের উপর অসাধারণ সুন্দর রিলিফ ভাষ্কর্য কর্ম মিয়ানমারের কাঠের শিল্প-কর্মের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করায়।

মন্দির থেকে দেখবেন পূর্বদিকে বান্দরবান শহর ও চারপাশে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। মিয়ানমার থেকে শিল্পী এনে এটি তৈরি করা হয়। ২০০৪ সালে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। সোনালী রংয়ের অপূর্ব নির্মাণ শৈলী ও আধুনিক ধর্মীয় স্থাপত্য নকশার নিদর্শনস্বরুপ এ স্থানটি সবার খুবই আকর্ষনীয় এবং একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্পট। পর্যটকরা বান্দরবন ঘুরতে এলে স্বর্ণমন্দির না দেখে চলে যায় এমন নজির নেই।

এখান থেকে সাঙ্গু  নদী, বেতার কেন্দ্রসহ বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহজেই উপভোগ করা যায়। এ মন্দিরের পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এক পুকুর। বৌদ্ধরা এ পুকুরকে সম্মানের চোখে দেখে; কারণ এটি যে দেবতা পুকুর! ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও পূর্ণিমায় এখানে জড়ো হন হাজার হাজার পুণ্যার্থী।

Exit mobile version