গরীবের চাউলে পোকা, ১০ টাকা মূল্যের চাউল বলে কথা

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য সরকারে বিক্রিত স্বল্প মূল্যের চাউল নিয়ে বিপাকে পড়ছে দরিদ্ররাই। ক্রয়কৃত এসব চাউল খাবার উপযোগী নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ১০ টাকা মূল্যে ক্রয়কৃত চালে যেমন পোকা তেমন নষ্ট বলেও জানিয়েছে ভুক্তোবোগীরা। সরকারের খাদ্যগুদাম থেকে গরীবের জন্য সরবারহকৃত চাউলক্রয়ে এখন গরীবরাই অনীহা প্রকাশ করছে।

এসব চাল নিয়ে জেলার বরকল উপজেলায় খাদ্য গুদামে দারিদ্র ও ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষেই স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে খাদ্য বান্ধব প্রকল্পের ৭৫ মেট্রিক টন চাউল সরবরাহ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, সরবরাহকৃত অধিকাংশ চাউল পঁচা ও ভেতরে পোকায় ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। এসব চাউল খাবারে উপযোগী নয় বলে অভিযোগ করেন সুবিধাভোগীরা। সবসময় ডিলার ও সুবিধাভোগীদের মধ্যে তর্ক ও বাকবিতন্ডা হয় এই পঁচা চাউলের কারণে। আবার অনেকেই ঠাট্টা করে বলছেন,‘দশ টাকা মূল্যের চাউল বলে কথা’ সে জন্যই পঁচা ও পোকা চাউল।

এ বিষয়ে বরকল উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে বরকল সদর ইউনিয়নে ১৭৬, সুবলং ইউনিয়নে ৩৭৬ আইমাছড়া ইউনয়নে ২১৬ ভুষণছড়া ইউনিয়নে ৪১২ ও বড়হরিণা ইউনিয়নে ১১২ পরিবার সহ মোট ১২শ ৯৩ পরিবার দারিদ্র ও ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে খাদ্য বান্ধব প্রকল্পের ১০ টাকার মুল্যের ৩০ কেজি চাউলের সুবিধা পাবে। কিন্তু এ চাউল নিম্নমানের ও খাবার উপযোগী না হওয়ায় তারা স্বল্প মূল্যেই পেলেও তাদের কাজে আসছেনা বলে সুবিধাভোগীরা অভিযোগ করেন।

এদিকে সরকারের ঘোষিত খাদ্য বান্ধব প্রকল্পের ডিলার বিরো জয় চাকমা জানান, সরকারের চাউল পঁচা গলা হলেও আমাদের সেটা নিতে হচ্ছে। আমাদের অভিযোগ করা কিংবা কোন দাবি করলেও গুরুত্ব নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।

প্রকল্পের চাউল পরিবহনকারী ঠিকাদার মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, চাউল সরবরাহ করা আমার কাজ। চাউলের গুনগত মান যাছাই করা কাজ আমার নয়। প্রকল্পের চাউল গুলো ভালো কি মন্দ তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতেও রাজি হননি।

বরকল উপজেলা খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডিও নিশান চাকমা বলেন, সরবরাহকৃত চাউলগুলোর মধ্যে কিছু ভালো কিছু মন্দ রয়েছে। তবে আমি সব চাউল দেখিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মন্টু মনি চাকমা জানান, সরকার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাউল ক্রয় করায় চাউল গুলো ভালো মন্দ হতে পারে। এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতার কারনে ও এসব সমস্যা সৃষ্টি হয়। এতে আমাদের কিছুই করার থাকে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন