কুতুবদিয়ায় স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও
কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কুতুবদিয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাঁদা মাড়িয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন নবাগত ইউএনও মনোয়ারা বেগম।
রবিবার (২২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কৈয়ারবিল কৈলস্যাঘোনা গ্রামে এ বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার দুপুরে ওই গ্রামের মৃত জাগের হোছাইনের পুত্র দেলোয়ার হোছাইনের সাথে পার্শ্ববর্তী মালয়েশিয়া প্রবাসী মাহমুদুল করিমের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা শারমিন আক্তারের বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আমান উল্লাহ ইউএনওকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিক পায়ে হেঁটে কাদা মাড়িয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। এ সময় বিয়ের যাবতীয় আয়োজন চলছিল।
পিএসসি পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী কনের বয়স ১৫ বছর হওয়ায় উভয় পক্ষকে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন নির্বাহী অফিসার। পরে তাদেরকে অফিসে এনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে সম্পাদন না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোয়ারা বেগম বলেন, বাল্যবিয়ে এবং ইভটিজিং বন্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ নেবেন তিনি। এতে কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা বলে তিনি জানান।