Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

কুতুবদিয়ায় ক্লিনিকে সাপ: আতঙ্কে রোগীরা

59

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া কৈয়ারবিল নজর আলী মাতবর পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে বিষধর গোখরো সাপ ঢুকে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে সেবা। আগত রোগীসহ সংশ্লিষ্ট সেবাদান কারীদের মধ্যে আতঙ্কে দিন কাটছে। ফলে সেবা দানে ব্যহত হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ক্লিনিকের মেঝের দেয়াল ঘেঁষে বেশ কয়েকটি ফাটল-গর্ত  রয়েছে। বুধবার ক্লিনিক খুলতে গেলে বিশাল আকৃতির গোখরো সাপ মেঝের ফাটলে ঢুকে পড়ে। এ সময় সেবাদানকারী সিএইচসিপি কর্মী ও কয়েকজন রোগী তা প্রত্যক্ষ করেন। সাপটি খোলস পাল্টাতে ফাটলে প্রবেশ করেছে বলে জানা যায়। অর্ধেকটা খোলস বের করেছেও স্থানীয়রা।

প্রায় ছ‘বছর আগে এ ক্লিনিক বিগত সরকারের আমলে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকায় বিষধর সাপ বাসা বাধে। দীর্ঘ দিন পর সেটি চালু করতে গিয়ে নাগমণিসহ গোখরো সাপের সন্ধান মেলে। টেবিলের ওপর রাখা খোলা  ড্রয়ারে নাগমণি রেখে গোখরোটি খাবারের সন্ধ্যানে দেয়ালে ভেন্টিলেটরে চড়ুই পাখির বাসায় ঢুকে পড়ে। এ সময় কক্ষে মানুষের আগমণে সাপটি রেগে যাওয়ায় পেটের অংশ ফুলে গেলে আর বের হতে পারে নি। দেয়ালে ছোঁবল মারতে মারতে সেখানেই মরে যায়। এ সময়  নাগমণিসহ এমন দৃশ্য ক্লিনিকে কর্মরত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা নুরুন নাহার দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন।

নজর আলী মাতবর পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের হেল্থ প্রভাইডর( সিএইচসিপি) মোহাম্মদ রাসেল জানান, বিষধর সাপটি পার্শ্ববর্তী এলাকাতেই থাকতো। তবে বুধবার ক্লিনিকের মেঝের ভাঙা ফাটলে প্রবেশ করায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।পরে ৪ জন সাপুরে আনা হয়েছিল। তারা মেঝে ভেঙে সেটি বের করার প্রস্তাব দেন। অন্য কোন উপায় তাদের কাছে না থাকায় তারা চলে যান। পুরো মেঝে খোঁড়াখুঁড়ি হলে পরে সেটি দ্রুত মেরামত করার প্রয়োজন হবে। যা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা প্রয়োজন। । আপাতত সেখানে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এমন পরিস্থিতিতে ক্লিনিকে আগত রোগী ও সেবাদানকারিরা সাপের ভয়ে আতঙ্কিত। এটি আগের নাগমণি হারানো মৃত গোখরোটির জোড়া বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন