কাপ্তাই ভাঁসমান হ্রদে ফসলের সমারহ, কৃষকের মুখে চাঁদের হাঁসি
কবির হোসেন, কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ
কাপ্তাই ভাঁসমান হ্রদ জুড়ে ফসলের সমারোহ কৃষকের মুখে হাঁসি। প্রতি বছর কৃষকরা অপেক্ষা করতে থাকে কখন কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকাবে আর কখন সেই ভাঁসমান হ্রদে কৃষকরা চাষ করবে। প্রতি বছর জানুয়ারী হতে হ্রদের পানি কমতে থাকে এবং হ্রদের ভাঁসমান জায়গায় জুড়ে উপজাতীয় এবং অনেক বাঙালী মিলে ভাঁসমান জেগে উঠা হ্রদের দু’পাশজুড়ে কৃষকরা নাঙল, জোয়াল, গরু হাল ব্যাতিত ধান, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ঢেড়শ, বড়কটিসীম, ঢাটাশাক, পানি কচু, মরিচ সহ বিভিন্ন ফসলাধী ফলে থাকে।
হ্রদের ভাঁস জায়গায় কোন ধরনের কিটনাশক বা সার প্রয়োগ করতে হয় না। বিনা সারে হ্রদের দু’পাশ জুড়ে দেখা যায় সবুজের ফসলের সমারহ। কৃষকরা জানান, এবার যে পরিমান হাইব্রীড ধান রোপন করেছে তাতে প্রতিটি থোকায়, থোকায় অনেক ধান হয়েছে।
কৃষক শাহবাজ আলী, মোমিন মিয়া বলেন, এবার আমরা অনেক খুশি। শাহাবুদ্দীন নামে এক কৃষক বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার হাইব্রীড ধান বেশ ভাল হয়েছে তা বিক্রয় করে আশা করি ভাল টাকা পাওয়া যাবে। ভাঁসমান হ্রদে কম খরছে বেশি লাভ।
তিনি বলেন, এ হ্রদে কোন গরু দিয়ে হাল চাষ করতে হয়না। কোন ধরণের কিটনাশক দিতে হয়না। তা থেকে আমরা অনেক নিরাপদ আছি। তা ছাড়া এবার বিভিন্ন ধরণের সবজি বিক্রয় করে লাখ টাকার মত উপার্জন করেছি। এখনও বিভিন্ন শাকসবজি প্রতিদিন বিক্রয় করছি।ভাল দাম পাচিছ।
তবে জদি মুষলধারে বৃষ্টি হয় তাহলে হ্রদ ভড়ে যাবে এবং আমাদের ক্ষতি হবে। তাই বৃষ্টি আশার আগ মুহুর্তে ধান পাকা শুরু করেছে আর কিছু দিনের মধ্যে নিজ ঘরে ধান উঠার অপেক্ষায় আছি।