কাউখালীতে ইয়াবাসহ যুবক আটক

কাউখালী প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটির কাউখালীতে ১৪৪ পিস ইয়াবাসহ  আজম খান (২৯) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কের গোদারপাড় চেক পোস্টে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবার বড় একটি চালানসহ পালিছেয়ে আজমের অপর সঙ্গী। আটককৃত যুবক চট্টগ্রামের হাঁটহাজারী থানার গরদোয়ারা গ্রামের মো. জাফরের ছেলে। কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন এ ব্যাপারে কাউখালী থানায় মামলা হয়েছে।

কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, রাত ১০টায় আটকৃত আজম খান ও তার সঙ্গী রানীরহাট থেকে সিএনজি ভাড়া করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। তারা কাউখালীর গোদারপাড় চেক পোস্ট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ রুটিন মাফিক গাড়ি চেক করার জন্য এগিয়ে আসে। এসময় সিএনজিতে থাকা আজম খান ও তার সঙ্গী পুলিশ দেখে দৌড় দেয়। ইয়াবার বড় চালানসহ একজন পালিয়ে গেলেও পেছন থেকে দৌড়ে আজমখানকে আটক করে দায়িত্বরত পুলিশের এএসআই মো. আব্দুর রাজ্জাক। পরে তার শরীর তল্লাশী করে ১৪৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই পুলিশ আজমখান ও আটককৃত সিএনজি কাউখালী থানায় হস্তান্তর করেন। আটককৃত আজম খান নিজেকে ট্রাক ড্রাইভার হিসেবে দাবি করেছে।

কাউখালী থানার ওসি মো. কবির হোসেন জানান, দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযানের ফলে এসব ইয়াবা ব্যবসায়ী ও মাদক পাচারকারীরা রোড পরিবর্তন করে মফস্বল এলাকা বেছে নিয়েছে। তিনি জানান, ইয়াবার যেসব চালান আগে শহর অঞ্চলে খালাস করা হতো, পুলিশের নজদারী এড়াতে অপরাধীরা এখন তা মফস্বল থেকে বিলি বন্টন করার পন্থা অবলম্বন করেছে। এরই অংশ হিসেবে তারা রাঙ্গুনীয়ার রানীরহাট থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে চট্টগ্রাম উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল।

ওসি জানান, কাউখালী, রাঙ্গুনীয়াসহ আশপাশের এলাকায় একটি সেন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে পুরো উপজেলাজুড়ে ইয়াবা ট্যাবলেটের বিস্তার ঘটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। অত্যন্ত কৌশলী এ সেন্ডিকেটকে আটকের জন্য পুলিশ অনকেদিন যাবৎ চেষ্টা চালালেও বার বার ফসকে যাচ্ছে। তিনি জানান, আককৃত আজম খানকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত রিমান্ড মঞ্জর করলে এ চক্রের মুল হোতাদের বের করা সম্ভব হবে। তাছাড়া আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতার ও তার কাছে কি পরিমাণ ইয়াবা ছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে পুলিশের ধারনা এর পেছনে বড় সেন্ডিকেট জড়িত রয়েছে এবং বড় ধরণের চালান হাত ফসকে গেছে।

দেশীয় মদ ও গাঁজার ছোবলে আক্রান্ত কাউখালীতে এবার মরন নেশা ইয়াবা যুক্ত হওয়ার খবরে বিচলিত এলাকার মানুষ। সাধারণ মানুষের মতে অল্প থাকতে এ নেশার বিষাক্ত ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে না পারলে ভয়াবহ পরিস্থিতি রূপ নিতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন