কর্মীদের স্বীকারোক্তিতে ফাতেমা অপহরণ নিয়ে ইউপিডিএফের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা :

গৃহবধু ফাতেমা বেগম অপহরণ ঘটনায় গুইমারাতে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ-পিসিপি নেতা সুশীল ত্রিপুরা ও রেহেনা চাকমাসহ পাঁচ নারী-পুরুষকে আটককে ষড়যন্ত্রমূলক দাবী করে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন সংগঠনের প্রতিবাদের কয়েক ঘন্টা পরেই ইউপিডিএফ সমর্থিত পিসিপির তিন কর্মীর স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদের আদালতে আটককৃত কমলা দেবী চাকমা (৫০), চিন্তা রানী চাকমা (৩৫) ও সুশিল চাকমা (২০) ফাতেমা অপহরণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।

গুইমারা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাহাদত হোসেন টিটো বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, আটক তিন পিসিপি কর্মীর স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে ইউপিডিএফের সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।

যাত্রীবাহি বাস থেকে অপহৃত গৃহবধু ফাতেমা বেগমকে উদ্ধার করার জন্য সবকিছু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কাউকে জিম্মি করে রাখার সুযোগ কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠিকে দেয়া হবেনা। পুলিশসহ আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে রাজপথ গরম করার সুযোগ কাউকেই দেয়া হবেনা বলেও জানান গুইমারা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাহাদত হোসেন টিটো।

গতকাল বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদত হোসেন টিটোর নেতৃত্বে পুলিশ গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়ির ১নং রাবার বাগান এলাকা থেকে পাঁচ ইউপিডিএফ কর্মীকে আটক করে ।

প্রসঙ্গত, ৮ সেপ্টেম্বর ঈদের ছুটি শেষে স্বামী মো. নাজমুল হোসেনেরর সাথে বাসযোগে (বিছমিল্লাহ পরিবহন) কর্মস্থল চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে গুইমারার বাইল্যাছড়ি সাইনবোর্ড এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ‘র ১০/১২ জন কর্মী বাসের গতিরোধ করে স্বামীর পাশে বসা গৃহবধু ফাতেমা বেগমকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এসময় স্বামী মো. নাজমুল হোসেন বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকেও অপহরণের হুমকি দেয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন