parbattanews

এস এস সি’র ফলাফলে উপজেলার শীর্ষে পেকুয়া জিএমসি


পেকুয়া প্রতিনিধি:
সদ্য প্রকাশিত এস এস সি পরীক্ষার ফলাফলে পেকুয়া জি এম সি ইনষ্টিটিউশন উপজেলার শীর্ষে অবস্থান করছে।
সোমবার প্রকাশিত ফলাফল বিবরণীতে জানা যায়, পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশন থেকে ৩৮১ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩০৯ জন পাশ করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ জন। পাশের হার ৮১.১০ ভাগ। শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৭৩ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এর মধ্যে ১৪৬ জন পাশ করে। পাশের হার ৮৪.৩৯ ভাগ। জিপিএ পেয়েছে ৮ জন। পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১০৯ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এর মধ্যে ৬২ জন পাশ করে। পাশের হার ৫৬.৮৮ ভাগ। মেহেরনামা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৩৭ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এর মধ্যে পাশ করে ৬০ জন। পাশের হার ৪৩.৮০ ভাগ। জিপিএ পেয়েছে ১ জন। মগনামা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ৮৫ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এর মধ্যে পাশ করে ৭০ জন। পাশের হার ৮২.৩৫ ভাগ। রাজাখালী ফৈয়জুন্নেচ্ছা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ৯১ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এর মধ্যে পাশ করে ৭৫ জন। পাশের হার ৮২.৪২ ভাগ। জিপিএ পেয়েছে ১ জন। রাজাখালী এয়ার আলী খাঁন উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১০১ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এর মধ্যে ৯১ জন পাশ করে। পাশের হার ৯০.১০ ভাগ। জিপিএ পেয়েছে ১ জন। টইটং উচ্চ বিদ্যালয় হতে ৮৫ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এর মধ্যে ৪২ জন পাশ করে। পাশের হার ৪৯.৪১ ভাগ। হোসনে আরা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ৪৬ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এর মধ্যে ২৪ জন পাশ করে। পাশের হার ৫২.৭১ ভাগ। বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হতে ৮৫ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৬৩ জন পাশ করে। পাশের হার ৭৪.১২ ভাগ।
সর্বপরি পেকুয়া উপজেলায় এবারে দুটি কেন্দ্রে মোট ১২৯৩ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়, পাশ করে ৯৪২ জন। উপজেলায় শতকরা পাশের হার ৭২.৮৫ ভাগ।
এদিকে উপজেলায় ফলাফলে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পেকুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশন উপজেলার শীর্ষে অবস্থান করছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তের দিক দিয়ে উপজেলার শীর্ষে এবং পাশের হারের দিক দিয়ে রাজাখালী এয়ার আলী খাঁন উচ্চ বিদ্যালয় শীর্ষে রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, নানা বাঁধা প্রতিকুলতার মাঝে আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রেখেছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। এ সাফল্যের জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্য বৃন্দ ও অভিভাবক বৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

Exit mobile version