Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

উখিয়ায় কে.জি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিকট অখ্যাত প্রকাশনীর বই বিক্রির রমরমা ব্যবসা

kg-school
উখিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের উখিয়ায় কে.জি স্কুলগুলো তাদের কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদেরকে অখ্যাত কোম্পানীর বই জোরপূর্বক কিনতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অখ্যাত ও নিম্নমানের বই বিক্রির বিনিময়ে কে.জি স্কুলের শিক্ষকরা পকেটস্থ করেছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এ নিয়ে অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, উখিয়া উপজেলায় সর্বত্র ও গ্রামেগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে ৩৫টির অধিক কে.জি স্কুল। স্কুলগুলোতে প্রায় ৬ হাজার মতো শিক্ষার্থী রয়েছে।

জানা যায়, উখিয়া কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন ও উখিয়া উপজেলা কে.জি স্কুল এসোসিয়েশন ব্যানারে দু’টি পৃথক সংগঠন রয়েছে। সংগঠন দুটির অধীনে এসব গড়ে উঠা কে.জি স্কুলগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে।

অভিভাবকগণ জানান, নতুন বছরের শুরুতেই স্ব-স্ব কে.জি স্কুলে ভিন্ন ভিন্ন বইয়ের তালিকা ছাত্রদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।

অভিযোগে প্রকাশ, ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু অখ্যাত বই কোম্পানীর সাথে এসব স্কুলের কতিপয় শিক্ষক ও লাইব্রেরী যোগসাজস রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ওইসব প্রকশনীর বই ছাত্রদেরকে ক্রয় করতে বাধ্য করেন শিক্ষকরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতি শিক্ষার্থীর মাথা পিছু ২শ ২০ টাকা থেকে ২শ ৫০ টাকা পর্যন্ত বই কোম্পানী বা প্রকাশনী থেকে হাতিয়ে নিয়েছে স্ব-স্ব কে.জি স্কুলের শিক্ষকগণ। একটি কে.জি স্কুলে ২ শত শিক্ষার্থী থাকলে তাদের মাথা বিক্রি বাবদ অখ্যাত প্রকাশনীর কাছ থেকে আদায় হচ্ছে অন্তত ৫০ হাজার টাকা।

অভিভাবক আবুল মনসুর চৌধুরী, মোহাম্মদ ফরহাদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নার্সারীর কিংবা প্লে শ্রেণির একটি ৩০ টাকা দামের বই ১শ ১০ টাকা থেকে ১শ ৫০ টাকা দিয়ে আমাদের সন্তানদের জন্য ক্রয় করতে হয়। বই ব্যবসার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া খুবই দুঃখজনক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান, কে.জি স্কুলগুলোতে সরকারীভাবে সরবরাহকৃত বই বিনামূল্যে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কে.জি স্কুলের বইয়ের নামে শিক্ষার্থীদেরকে অতিরিক্ত বই পাঠদান ও মাত্রা অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে অভিভাবকদের সোচ্চার হতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন