parbattanews

মিয়ানমার সম্মতি দিলে চাকঢালা স্থল বন্দর নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে -নৌ পরিবহন মন্ত্রী

বাইশারী প্রতিনিধি:

নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি বলেছেন, মিয়ানমার সম্মতি দিলে চাকঢালা স্থল বন্দরের নির্মাণ কাজ খুব শীঘ্রই শুরু করা হবে। সরকার মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত বাণিজ্য সম্প্রসারনের লক্ষে নতুন স্থল বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১১টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে সম্ভাব্য স্থল বন্দরের সম্ভ্যাব্যতা যাচাই করতে গিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খান এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন- স্থল বন্দর নির্মাণে মিয়ানমারেরও আগ্রহ থাকতে হবে। সেখানে এলসি স্টেশন প্রয়োজন। তাই কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পরই দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। মানুষের মাথাপিচু আয় বেড়েছে। খাদ্য রপ্তানি, খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার দশ বছরে ১২টি স্থল বন্দর করেছে। বিএনপি একটি বন্দরও করতে পারেনি। তাই চাকঢালায় স্থল বন্দর করতে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও মতবিনিময় সভায় স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইসলাম বেবী, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষী পদ দাশ, ক্যানু অং চাক, আবু তাহের কোং, সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান মেম্বার, দৌছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিব উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে এলাকার জনগণ তাদের প্রত্যাশার স্থল বন্দর নির্মাণে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে শত শত তোরণ নির্মাণ ও ফেস্টুনে ছেঁয়ে যায়। দুপুরে মন্ত্রী ঘুমধুমের উদ্দ্যেশে নাইক্ষ্যংছড়ি ত্যাগ করেন।

Exit mobile version