অভিনব কায়দায় শশুরকে ফাঁসাতে গিয়ে জামাই শ্রী ঘরে
গুইমারা প্রতিনিধি:
গুইমারায় ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের বিষয় নিয়ে নতুন দিগন্তের দার উন্মোচন হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে অভিনব কায়দায় ২৫রাউন্ড গুলি দিয়ে শশুরকে ফাঁসাতে চেয়ে ছিলেন নিজ মেয়ের জামাই নাসির উদ্দিন বাবু ও তার বন্ধু সোহেল।
মঙ্গলবার (২৬ডিসেম্বর )দুপুর ১২.৩০টার সময় গুইমারা মোটর সাইকেল স্টেশন থেকে ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার সহ বাইল্যাছড়ির মৃত আলী আহম্মেদের ছেলে আবুল হোসেন (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, মাটিরাঙ্গার নাসির উদ্দিন বাবুর সাথে বাইল্যাছড়ির আবুল হোসেনের মেয়ের বিয়ে হয়। নানান কলহের ভিতর দিয়ে বছর খানেক তাদের সংসার হয়। সর্বশেষ মাটিরাঙ্গা থানায় এএসআই পার্থ রায়ের মাধ্যমে স্থানীয় কমিশনার ও মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে দেন মোহর বাবদ ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা আবুল হোসেনের মেয়েকে ২১ ডিসেম্বর পরিশোধের মাধ্যমে ডিভোর্স হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।
তারই ফাঁকে শশুরকে বিপদে ফেলে দেওয়ার জন্য জামাই নাসির একটি বইয়ের মাঝখানে ব্লেট দিয়ে কেটে ২৫ রাউন্ড গুলি ঢুকিয়ে তার বন্ধু সোহেলকে দিয়ে বইটা পাঠায় তার শশুর এর কাছে। সোহেল বইটি নিয়ে সহজ সরল আবুলকে বলে এইটা আপনার ছেলের বই বাড়ি নিয়ে যান। এই ফাঁকে পুলিশকে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কানাকানি হলে পুলিশ জামাই নাসিরকে (২৭ ডিসেম্বর ২০১৭) ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে খাগড়াছড়ি চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে প্রেরন করলে নাসির উদ্দিন বাবু ১৬৪ ধারায় স্বীকার করেন যে সে তার শশুর কে ফাঁসানোর জন্য এসকল ঘটনা ঘটিয়েছে। তার স্বীকারউক্তি মতে, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলম চৌধুরী তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
এবিষয়ে গুইমারা থানা অফিসার ইনচার্জ সাহাদাত হোসেন টিটুর নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নাসির উদ্দিন বাবুকে এ ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় আমরা তাকে আটক করি এবং ঘটনার সাথে প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় তাকে কোর্ট হাজতে প্রেরন করি। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছি। তার সহযোগী সোহেলকে আটকের চেষ্টা করছি। অপর দিকে আবুল হোসেনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে মামলায় জড়াতে আমরা চাইনা।